শত প্রতিকূলতাকে জয় করে যিনি হয়েছেন নেতা

রাজশাহী লীড

স্টাফ রিপোর্টার: ডাবলু সরকার, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ রাজশাহী মহানগরের সাধারণ সম্পাদক। রাজনীতির ঘাত-প্রতিঘাত, চড়াই-উতরাই ও শত প্রতিকূলতাকে জয় করে আজকের এই অবস্থানে পৌঁছেছেন তিনি।

ছাত্র রাজনীতির কর্মী থেকে আজকে গণমানুষের রাজনীতির একজন সফল সংগঠক থেকে ডাবলু সরকার হয়েছেন জননেতা। দলের সভানেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা ঘোষিত প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে তার সরব উপস্থিতি নেতা-কর্মীদের নজর কাড়ে। চলে আসেন রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে।

প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার চলমান উন্নয়ন কর্মসূচি এবং রাজশাহীর গণমানুষের নেতা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সিটি মেয়র এ.এইচ.এম. খায়রুজ্জামান লিটনের গৃহীত ও বাস্তবায়িত কর্মকাণ্ড জনসম্মুখে তুলে ধরতে ডাবলু সরকারের জুড়ি নেই।

আন্দোলন-সংগ্রামে অংশগ্রহণ ও নেতৃত্ব দিয়ে আজ দক্ষ সংগঠক ও কর্মীবান্ধব নেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন ডাবলু সরকার। ৯০ এর স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে আন্দোলন-সংগ্রামে অংশগ্রহণের সূচনা করেন তিনি। পরে ৯৬ এর অসহযোগ আন্দোলনে তার ভাই সাবু সরকার ও তার ভূমিকা অগ্রগণ্য।

রাজশাহী মহানগরের প্রাণকেন্দ্র জিরোপয়েন্ট হলো রাজশাহীর রাজনীতির আন্দোলন সংগ্রামের কেন্দ্রবিন্দু। আর জিরো পয়েন্টকে ঘিরে আওয়ামী লীগ সর্বদা তার শক্ত অবস্থান ধরে রাখতে যে সকল ব্যক্তি বা অঞ্চলের ভূমিকা অপরিসীম, তাদের মধ্যে ডাবলু সরকার, তার ভাই মরহুম সাবু সরকার ও কুমারপাড়ার নাম অনস্বীকার্য।

৯৬ এর গণবিরোধী প্রহসনের নির্বাচন প্রতিহত করতে ডাবলু সরকারের ভূমিকা সর্বজনবিদিত। এজন্য তিনি ও তার পরিবার হামলা-মামলা ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়। অপারেশন ক্লিনহার্ট এর সময় তাদের পরিবারের ওপর চলে নির্মম নির্যাতন। তার বড় ভাই ২২নং ওয়ার্ডের বারবার নির্বাচিত কাউন্সিলর আব্দুল হামিদ সরকার টেকনকে ধরে নিয়ে যায় তৎকালীন যৌথবাহিনী। তার উপর চলে অমানষিক নির্যাতন। মাটি খুঁড়ে বুক পর্যন্ত পুঁতে রাখা হয় তাকে।

ডাবলু সরকারের পরিবারের প্রায় সকল সদস্য যেহেতু প্রত্যক্ষভাবে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত, যার ফলশ্রুতিতে অপারেশন ক্লিনহার্টের সময় তার পরিবারের কোনো সদস্য নিজ বাসভবনে রাত যাপন করতে পারেনি।

এরপর বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের হামলা-মামলা, নির্যাতন সহ্য করে আজও রাজনীতিতে সক্রিয় এই রাজনৈতিক পরিবার। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট তৎকালীন বিরোধী দলের নেতা দেশরত্ন শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালায় তৎকালীন বিএনপি সরকারের মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীরা।

এর প্রতিবাদে ২২ আগস্ট রাজশাহীতে বিক্ষোভ ও আন্দোলন-সংগ্রামে রাজশাহী কার্যত অচল হয়ে পড়ে। যার নেতৃত্বে হাতে গোনা কয়েকজনের মধ্যে ডাবলু সরকার ও তার ভাই সাবু সরকারের বলিষ্ট ভূমিকা নেতা-কর্মীদের সংগঠিত ও উজ্জীবিত করে।

ওয়ান ইলেভেনে ঘরোয়া রাজনীতি নিষিদ্ধ হলেও ডাবলু সরকার ও তার পরিবার গোপনে রাজনৈতিক কাজ চালিয়ে যায়। ২০১৪ সালে জামায়াত- বিএনপি জোটের জ্বালাও-পোড়াও রাজনীতির বিরুদ্ধে রাজপথে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন ডাবুল সরকার, যা রাজশাহীর জনগণ ভালোভাবেই অবগত।

আজকের এই অবস্থানে ডাবলু সরকারের আসার পথ কখনোই মসৃণ ছিল না। অনেক বন্ধুর পথ অতিক্রম করে আজকে তিনি রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *