করোনায় শিশুর সুরক্ষায় যা করবেন

চারণ সংবাদ

স্বদেশ বাণী ডেস্ক:

করোনাভাইরাস নিয়ে সারাবিশ্বে আতঙ্ক চলছে। বয়স্ক পুরুষরা এই রোগে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকেন। ভারতের ‘সেন্টার ফর ডিজিজ ডায়নামিক্স, ইকোনমিক্স অ্যান্ড পলিসির মহাপরিচালক প্রফেসর রামানান লক্ষ্মী নারায়ণ বলেন, করোনাভাইরাসে সবচাইতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন প্রবীণরাই। যারা একাধিক রোগে ভুগছেন, হৃদরোগে ভুগছেন, স্ট্রোক করেছেন, তীব্র শ্বাসতন্ত্রের সমস্যায় ভুগছেন তাদের বিপদ বেশি।

এই ভাইরাস নিরাময়ের কোনো টিকা বা ওষুধ এখনও আবিষ্কৃত হয়নি। তাই এই রোগ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হচ্ছে সচেতন হওয়া।

আর চীনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের করা এক বিস্তৃত গবেষণা থেকে জানা গেছে, প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে বয়োবৃদ্ধ অন্যান্য রোগে ভোগা ব্যক্তির মৃত্যুঝুঁকিই সবচেয়ে বেশি।

করোনাভাইরাস নিয়ে বড়রা কমবেশি সতর্ক হলেও শিশুদের নিয়ে রীতিমতো আতঙ্কে রয়েছেন অভিভাবকরা।

ভারতের মুম্বাইয়ে ক্লাউড নাইন হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. বিনয় জোশী বলেছেন, করোনা থেকে শিশুদের সুরক্ষিত রাখতে কিছু বিষয় মানতে হবে। অহেতুক আতঙ্ক ছড়িয়ে লাভ নেই।

আসুন জেনে নিই করোনায় শিশুর সুরক্ষায় কী করবেন?

১. সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো হাত ধোয়া। অন্তত ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধোয়া উচিত। হাতের দুই পৃষ্ঠ খুব ভালো করে ধুতে হবে। আঙুলের খাঁজ যাতে ভালোভাবে পরিষ্কার হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

২. স্কুলে যাওয়ার সময় অথবা বাইরে গেলে আপনার সন্তানকে ভালো হ্যান্ড স্যানিটাইজার সঙ্গে রাখতে বলুন।

৩. সহপাঠীর জ্বর হলে খুব বেশি কাছে না ঘেঁষা ও হ্যান্ডশেক না করা ভালো।

৪. যেসব দেশে করোনার আক্রমণ হচ্ছে, সেসব দেশ থেকে ফিরলে আপনার সন্তানকে প্রথম কয়েক দিন স্কুলে পাঠাবেন না।

৫. স্কুল কর্তৃপক্ষ ক্লাসরুমের টেবিল-চেয়ার পরিচ্ছন্ন রাখুন। মেঝে, দেয়াল, বাথরুম পরিষ্কার করা হোক জীবাণুনাশক দিয়ে।

৬. হাঁচি-কাশি হলে সন্তানদের মুখে মাস্ক পরার পরামর্শ দিন।

৭. বাইরে ঘুরতে গেলে হ্যান্ড স্যানিটাইজার সঙ্গে রাখুন। পরিচ্ছন্ন হোটেলে ওঠার চেষ্টা করবেন।

৮. মসলাদার খাবার খাবেন না। মাংস খাওয়ার সময় বিশেষ করে সতর্ক হোন।

৯. জ্বর হলে জন্মদিন বা এ রকম কোনো অনুষ্ঠান এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।

সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

স্ব.বা/বা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *