বাঘা প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাঘায় বালু দস্যুদের মারধরে বাঘা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) পি.এম ইমরুল কায়েসসহ তার অফিসের দুই কর্মচারী- নিরাপত্তা প্রহরী পলিন ও চেইনম্যান শামসুল আলম আহত হয়েছে। এদের মধ্যে এ্যাসিল্যান্ড ও নিরাপত্তা প্রহরীকে বাঘা হাসপাতাল থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হযেছে। শনিবার (১৯-০১-১৯) দুপুর পৌনে ১ টায় উপজেলার মনিগ্রাম ইউনিয়নের হরিরামপুর পদ্মা নদী তীরবর্তী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বালি উত্তোলনের সাথে জড়িত হরিরামপুর এলাকার মোজাহারের ছেলে নওশাদ ও মহসীনের ছেলে বারি সহ তার সাথের লোকজন মারধর করে। মনিগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নির্ভরযোগ্য সুত্রে জানা গেছে, তারা আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত রয়েছে।
নিরাপত্তা প্রহরী পলিন জানান, ওই এলাকায় নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছিল। এমন সংবাদের ভিত্তিতে স্যার সেখানে গিয়ে বালি উত্তোলনের বৈধতা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছিলেন। এসময় বালি উত্তোলনের সাথে জড়িতরা স্যারের উপর হামলা করে কিল-ঘুষি ও লাঠি দিয়ে মারধর শুরু করে। এসময় স্যারকে রক্ষা করতে গেলে আমাদেরকেও মারধর করে তারা।
আহত সহকারী কমিশনার (ভূমি) পি.এম ইমরুল কায়েস বলেন, সেখানে তিনি বালি উত্তোলনের স্থান দেখতে গিয়েছিলেন। বালি উত্তোলন করতে দেখে বৈধ কাগজপত্র আছে কিনা জানতে চাইলে তার উপর চড়াও হয়ে হামলা করে। ভ্রাম্যমানের উদ্দেশ্য নিয়ে জাননি বিধায় কোন পুলিশ ফোর্স সাথে ছিলনা। জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ সঞ্জয় কুমার পাল বলেন, এ্যাসিল্যান্ডের কপালে, নাকে ও নিরাপত্তা প্রহরীর নাকেসহ তাদের শরিরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত প্রাপ্ত হয়েছে। ঘটনার পর আতœগোপনে থাকায় নওশাদ ও বারির বক্তব্য নেওয়া সম্বব হয়নি।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে রাজশাহী জেলা প্রশাসক এসএম আব্দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন,ঘটনার সাথে জড়িত কাইকেই ছাড় দেওয়া হবেনা। বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মহসীন আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন এ বিষয়ে মামলা দায়ের করা হবে।