লকডাউনের মধ্যেও কাশ্মীরে ভারতীয় সেনাদের গুলিতে নিহত ৯

আন্তর্জাতিক লীড

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: লকডাউনের মধ্যেও কাশ্মীর উপত্যকায় পৃথক অভিযানে ৯ স্বাধীনতাকামী কাশ্মীরিকে গুলি করে হত্যা করেছে ভারতীয় সেনারা। পাল্টা হামলায় ভারতের ৩ সেনা সদস্যও নিহত হয়েছেন। খবর আল-জাজিরা ও এবিসি।

শনিবার বাটপোরায় নিহত হন চারজন। রোববার ভোররাতে কুপওয়ারায় নিয়ন্ত্রণরেখার কাছেই গুলিযুদ্ধে নিহত হন আরও পাঁচজন।

ভারতীয় মিডিয়ার দাবি, যাদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে তারা সবাই জঙ্গি। ভারতীয় সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে দেশটির সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার জানায়, দু’টি জঙ্গি দলের কাছ থেকেই উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র ও বিস্ফোরক।

সেনাবাহিনী সূত্রের বরাত দিয়ে আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, গত বুধবার উত্তর কাশ্মীরের কুপওয়ারার জামগুন্দ গুগুলদারা তিন বেহক এলাকায় অন্তত দু’বার জঙ্গিদের উপস্থিতি বুঝতে পারেন সেনা জওয়ানরা। জঙ্গিরা গুলি চালায় বলেও সেনা সূত্রে খবর। কিন্তু ওই এলাকা গভীর জঙ্গলে ঢাকা থাকায় ব্যাপক তল্লাশি অভিযান চালিয়েও তখন জঙ্গিদের খুঁজে বের করা যায়নি। এরপর রোববার ভোররাতে ফের তাদের গতিবিধি নজরে আসে। এর পরেই শুরু হয় অভিযানের প্রস্তুতি।

ভোর রাতেই অভিযানে নামে সেনার ৮-জাঠ বাহিনী। কিন্তু ওই এলাকাও ঘন জঙ্গলে ঢাকা থাকায় প্রথম দিকে জঙ্গিদের খুঁজে পেতে সমস্যা দেখা দেয়। আওয়াউরা, কুমকড়ি, জুরহুমা, সাফাওয়ালি, বাটপোরা, হাইহামা এলাকায় এক যোগে তল্লাশি অভিযান শুরু করে ভারতীয় সেনার ৪১ আরআর, ৫৭ আরআর, ১৬০টিএ এবং কুপওয়ারার এসওজি। হেলিকপ্টারেও তল্লাশি চালানো হয় বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন। এর পর রংদোরি বেহক এলাকায় জঙ্গিদের সঙ্গে গুলিযুদ্ধ শুরু হয়। বেশ কিছুক্ষণ গুলিবিনিময় চলে। রোববার সকালে উদ্ধার হয় পাঁচ জঙ্গির মৃতদেহ।

অন্য দিকে বাটপোরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে চার জনকে হত্যা করে সেনা জওয়ানরা।

কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম আলজাজিরা জানায়, ১৯৮৯ সাল থেকে কাশ্মীরে বিদ্রোহী গ্রæপটি কাশ্মীরকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চায়। এদের দমন করতে ভারত নানা সময় নির্যাতন ও নিপীড়ন চালিয়ে আসছে। পর্যন্ত ভারতীয় সেনাদের হাতে ৭০ হাজার কাশ্মীরি নিহত হয়েছেন। এ উপত্যকায় নানা দমন-নিপীড়নের কারণে মুসলিম অধ্যূষিত ওই উপত্যকার বেশিরভাগ মানুষ স্বাধীনতাকামী বিদ্রোহীদের সমর্থন করেন।

স্ব.বা/বা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *