বাঘা প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাঘায় চলন্ত মোটর সাইকেল থেকে রাস্তায় ফেলে দিয়ে পালিয়েছে স্বামী। স্থানীয় লোকজন তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। মূমূর্ষ অবস্থায় শনিবার রাত ৭টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এর আগে স্বামীর বাড়ি জোতরাঘব গ্রামে নেয়া হয়। সেখান থেকে স্বামীর কর্মস্থল সেবা ক্লিনিকে নেওয়ার পর অবস্থা বেগতিক দেখে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেসে পাঠানো হয়। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার(২৬-১-১৯) বিকেল সাড়ে ৪টায় উপজেলার দিঘা ধরবলিয়া এলাকায়। ঘটনার পর স্বামী জিল্লুরকে পাওয়া যায়নি। তার বাড়ি উপজেলার জোতরাঘব গ্রামে। সে সেবা ক্লিনিকের পার্টনার বলে জানা গেছে। জিল্লুর দ্বিতীয় স্ত্রী শামীমা আকতার রেখার বাবার বাড়ি লালপুরের সালামপুর কেশব বাড়িয়া গ্রামে।
প্রত্যক্ষদর্শী দিঘা গ্রামের আফতাব আলী জানান, শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বাজার থেকে বাড়িতে ফেরার পথে ঘটনাস্থল দিঘা ধরবলিয়া এলাকায় ওই নারিকে রক্তাক্ত অবস্থায় ছটফট করতে দেখেন। পরে রেজার ভ্যান গাড়িতে দিঘা বাজারে ইসরাফিল ডাক্তারের কাছে নেন। সেখানে সে চিকিৎসা নিতে রাজি না হয়ে তার স্বামীর বাড়ি জোতরাঘব নেওয়ার কথা বলেন। তার কথা মতে জোতরাঘব স্বামীর বাড়িতে নেওয়ার পর ওই বাড়ির নারি সদস্যরা সেবা ক্লিনিকে নিতে বলেন। পরে সেবা ক্লিনিকে নেওয়ার পর ক্লিনিকের আরেক পার্টনার নাজমুল স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিতে বলেন। ভ্যান চালক রেজা বলেন সেখানে রেখে তারা নিজ বাড়িতে চলে যান।
জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডাক্তার আকতারুজ্জামান জানান,গুরুতর আঘাতের কারণে তার থুতনির নীচে ম্যান্ডেবুল ফ্রাকচার হয়েছে। তার কথায় থুতনির হাড় ভেঙ্গে গেছে। স্বামী পক্ষের লোকজন মাইক্রোতে রাজশাহীতে নিয়েছে বলে পরে জেনেছেন।
আহত রেখা জানান, নাটোরে বেসরকারি ক্লিনিকে নন ডিপ্লোমা নার্স হিসেবে কাজ করতেন। শনিবার বিকেলে সেখান থেকে স্বামী জিল্লুর মোটরসাইকেলে তার বাড়িতে আসছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেল থেকে পথিমধ্যে ফেলে দিয়ে চলে আসেন। রক্তাক্ত জখম হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে স্থানীয়দের সেবায় জ্ঞান ফিরে পান। বছর খানেক আগে বিয়ের শর্তে রাজি হয়ে তার প্রথম স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে জিল্লুৃরকে বিয়ে করেণ। এর মাঝে তাকে তালাক দিয়েছিল জিল্লুর। পরে মামলা করেণ। এর পর থেকে তাকে বিভিন্নভাবে মানষিক ও দৈহিকভাবে নির্যাতন করতো। কথা বলার জন্য জিল্লুর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।