স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীর বাগমারা থানাধীন ধামিন কামনগর গ্রামের এক আমবাগানের মধ্যে গলায় লাইলনের রশি প্যাঁচানো অবস্থায় শ্রী শুখেন কুমার সরকার নামক এক ব্যক্তির মরদেহ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে মৃত ব্যক্তির ভাই বাগমারা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে।
বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নিয়ে রাজশাহীর পুলিশ সুপার মোঃ শহিদুল্লাহ বিপিএম, পিপিএম এর দিকনির্দেশনায় তদন্ত কার্যক্রম শুরু করে থানা পুলিশ। তদন্তের একপর্যায়ে রাজশাহীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন দেবের নেতৃত্বে হত্যাকান্ডের সাথে সরাসরি জড়িত আসামি মোসাঃ তাহমিনা বেগম(৩৮), স্বামী-মোঃ আঃ ছাত্তার, সাং-ধামিন কামনগর, থানা-বাগমারা, জেলা-রাজশাহীকে গ্রেফতার করা হয়।
পরবর্তীতে ২০-৪-২০২০ ইং তারিখ উক্ত নারী হত্যাকান্ডের বিষয়ে বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে। মূলত পরকিয়া সম্পর্কের জের ও পাঁচ হাজার টাকার প্রলোভনে তাহমিনা ও পল্লব নামক এক ব্যক্তি মিলে শুখেন কুমার সরকারকে সুকৌশলে হত্যা করে। পরবর্তীতে পুলিশ পল্লবকেও গ্রেফতার করে। বর্তমানে তাহমিনা ও পল্লব দুজনেই কারাগারে আছে। তবে তাহমিনার বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায় যে, সে একজন গরিব মানুষ। তার দশম শ্রেণি পড়–য়া এক মেয়ে ও দুটি নাবালক ছেলে সন্তান রেয়েছে।
তাহমিনা সংসার চালানোর জন্য মৃত শুখেন ও পল্লবের বাসায় গৃহপরিচারিকার কাজ করতো। তার স্বামী বর্তমানে ঢাকায় থাকে এবং ঢাকায় আরেকটি বিয়ে করে সংসার করছে। তার স্বামী তাহমিনা ও তার সন্তানদের কোন খোঁজ খবর নেয় না এবং সংসার চালানোর জন্য কোন টাকা পয়সা দেয় না। তাহমিনা কারাগারা থাকায় তারা সন্তানরা আরো বেশি অসহায় ও মানবেতর পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে।
তাই মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে করোনায় এই উদ্ভুত সংকটময় পরিস্থিতিতে রাজশাহীর পুলিশ সুপার মোঃ শহিদুল্লাহ বিপিএম, পিপিএম এর দিকনির্দেশনায় বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আতাউর রহমান পরিবারটির সদস্যদের সার্বিক খোঁজ খবর রাখছে এবং নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী দিয়ে সহযোগিতা করেছে। শুধু খাদ্য সামগ্রী প্রদান নয়, তাদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থাও করে দিয়েছে বাগমারা থানা পুুলিশ।
আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় রাজশাহী জেলা পুলিশ অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে সর্বদা তৎপর রয়েছে। পাশাপাশি মানবিকতার আবেদন নিয়ে করোনার এই সংকটময় পরিস্থিতিতে সব সময় অসহায় নিরীহ মানুষদের পাশে রয়েছে জেলা পুলিশ।
স্ব.বা/শা