স্বদেশ বাণী ডেস্ক: এক ব্যক্তিকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখার ভয় দেখিয়ে উল্লপাড়া মডেল থানার এসআই মানিক মিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। থানায় অভিযোগ করেন ভূক্তভোগীর স্ত্রী। এ ঘটনায় দ্বায়িত্বে অবহেলার কারণে ওই এসআইকে ক্লোজড করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
জানা যায়, অভিযুক্ত এসআই ডাক্তারি ছুটিতে থাকাকালীন নিজ থানা ছেড়ে পাশ্ববর্তী তাড়াশ থানার তালম শিবপাড়া গিয়ে চাঁদা দাবি করেন। ভুক্তভোগীর স্ত্রী মুর্শিদা খাতুন নিজেই উল্লাপাড়া মডেল থানার ওসির নিকট এমন অভিযোগ করেন। পরবর্তীতে বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও ওসির মাধ্যমে অবগত হন।
এরপর দায়িত্বে অবহেলার দায়ে বৃহস্প্রতিবার (৩০ এপ্রিল) রাতে সাব ইন্সপেক্টর মানিককে ক্লোজ করে সিরাজগঞ্জ পুলিশ লাইন্সে প্রত্যাহার করা হয়। এর আগেও দায়িত্ব অবহেলা ও কর্মক্ষেত্রে ফাঁকি দেওয়ার অপরাধে মানিক মিয়ার বিরুদ্ধে উল্লাপাড়া থানার সিনিয়র সহকর্মীরা দুইটি জিডিও করেছেন বলে জানা যায়।
অভিযোগকারী মুর্শিদা খাতুন তাড়াশ উপজেলার তালম শিবপাড়া গ্রামের অধিবাসি আবুজল প্রামানিকের স্ত্রী। চলমান করোনায় আবুজল প্রামানিক ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি এসে আটকা পড়েন। জীবন জীবিকার তাগিদে গত প্রায় এক মাস থেকে আবুজল স্থানীয়ভাবে মাস্কের ব্যবসা শুরু করেছেন। ঢাকা থেকে আগত আবুজলকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখার ভয় দেখিয়ে গত ২৩ এপ্রিল তার নিকট চাঁদা দাবি করা হয়।
ডাক্তারি ছুটিতে থাকা উল্লাপাড়া থানার সাব ইন্সপেক্টর মানিক মিয়া সশরীরে গিয়ে চাঁদা দাবি করেন। তার স্ত্রী মুর্শিদা খাতুন পরে নিজেই ওসির নিকট এমন অভিযোগ করেন।
উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক কুমার বলেন, পুলিশ সুপার কার্যালয় থেকে এক আদেশে বুধবার রাতে মানিককে ক্লোজড করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। আদেশপত্রে চাঁদা দাবির অভিযোগ না থাকলেও মানিকের দায়িত্বে অবহেলার বিষয় উল্লেখ রয়েছে। ডাক্তারি ছুটিতে থেকে তাড়াশ গিয়ে যে ঘটনাটি সে ঘটিয়েছে, সেটি ন্যাক্কারজনক।
সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার আবু ইউসুফ ক্লোজের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি বিব্রতকর। তারপরেও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সূত্র: পূর্বপশ্চিমবিডি।
স্ব.বা/শা