রাজশাহীতে বাড়ির ছাদে ছাদে ঘুড়ি উড়ানোর হিড়িক

চারণ সংবাদ রাজশাহী লীড

স্টাফ রিপোর্টার: গ্রামীণ জনপদের এক সময়ের অন্যতম উৎসব ছিল ঘুড়ি উড়ানো এখন প্রায় বিলুপ্তের পথে। এক সময়ের গ্রামগঞ্জের মানুষের বিনোদনের অন্যতম বিষয় ছিল ঘুড়ি উড়ানো। এখন বিশেষ কোনো দিবস ছাড়া এই উৎসব আর চোখে পড়ে না।

দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে একরকম বন্দি জীবন কাটাচ্ছে রাজশাহীবাসী বিশ্বব্যাপী মহামারি রূপ নেয়ায় গৃহবন্দি হয়ে পড়েছে রাজশাহী জেলা ও শহরের বেশিরভাগ অঞ্চলের মানুষ। করোনা রুখতে ঘরে বন্দি থাকাই একমাত্র সমাধান হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এমন অবস্থায় বিকেল হলেই রং-বেরঙের ঘুড়ি উড়তে দেখা যাচ্ছে রাজশাহীর আকাশে। একটু আনন্দ লাভের চেষ্টায় কেউ ঘুড়ি উড়াচ্ছেন বাড়ির ছাদে কেউ বা আবার খোলা মাঠ বা পদ্মা নদীর ধারে।  ফলে শিশু-কিশোররা পড়েছে চরম অসুবিধায়।
একদিকে স্কুল-কলেজ বন্ধ, অন্যদিকে খেলাধুলারও উপায় নেই। সারাদিন টিভি, কম্পিউটার, ফেসবুক চালিয়ে যেন হাপিয়ে উঠেছে তারা। তাই পরিবার-পরিজন নিয়ে অনেকে এখন বাড়ির ছাদে ও খোলা জায়গায় ঘুড়ি উড়িয়ে আনন্দ লাভের চেষ্টা করছেন।
ঘুড়িপ্রেমীরা বলেন, ‘আমাদের রাজশাহীতে চড়কি, ভটেং, আপেল, টুনটুনি, দোবাজসহ বিভিন্ন নামের ঘুড়ি আছে।  প্রতি পিচ ঘুড়ির মূল্য ১০ টাকা এবং বড় আকারে ঘুড়ি ২০ টাকা তবে ঘুড়ির চেয়েও বেশি দৃষ্টি কাড়ে এর লেজ। ঘুড়ি অনেক আকৃতির ও রং-বেরঙের হয়ে থাকে। এর সঙ্গে ঘুড়ি উড়ানোর লাটাইয়ের নামও বেশ আকর্ষণীয়।
রিদয় নামের একজন ঘুড়িপ্রেমী স্বদেশবাণীকে জানান, দীর্ঘদিন ঘরের মধ্যে থেকে আর ভালো লাগছে না। তাই প্রতিদিন বিকেলে ছোট ভাইদের কে নিয়ে বাড়ির ছাদে ঘুড়ি উড়ান। এতে একদিকে বাচ্চারা যেমন গ্রামবাংলার হারাতে বসা ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে পারছে, অন্যদিকে তাদের চিত্ত-বিনোদনেরও সুযোগ মিলছে।
সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এ ধরনের কর্মকাণ্ড মানুষের মনে চিত্ত-বিনোদনের খোরাক জোগাচ্ছে বলে মনে করছেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।

স্ব.বা/বা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *