অনুসন্ধান: বাগাতিপাড়ায় স্কুল শিক্ষক নদীতে গ্যাস ট্যাবলেট দিয়ে মাছ শিকার করলেন 

বিশেষ সংবাদ রাজশাহী লীড

বাগাতিপাড়া প্রতিনিধিঃ নাটোরের বাগাতিপাড়ায় বড়াল নদীতে গ্যাস ট্যাবলেট দিয়ে বিভিন্ন প্রজাতীর মাছ শিকারের অভিযোগ উঠেছে। গ্যাস ট্যাবলেট প্রয়োগের ফলে বুধবার সকালে নদীর পানিতে বিভিন্ন প্রজাতীর মাছ মরে ভাঁসতে দেখেন নদীর তীরবর্তি বসবাসরত স্থানীয়রা। তারি প্রেক্ষিতে গনমাধ্যম কর্মীর অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে ঘটনার মূল হোতা এক স্কুল শিক্ষক। তিনি উপজেলার চাঁদপুর বিএম কলেজ ভোকেশনাল শাখার শিক্ষক ও রহিমানপুর এলাকার বাসিন্দা হারুনুর রশিদ। বিষয়টি অবগত হলেও এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি উপজেলা মৎস অধিদপ্তরকে।

জানা যায়, বুধবার (৬ মে) সকালে নদীর পানিতে বিভিন্ন প্রজাতীর মাছ মরে ভাঁসতে দেখার পর খবর আসে স্থানীয় গনমাধ্যম কর্মীর কানে। সরেজমিনে গিয়ে অনুসন্ধান শুরু করে তারা। স্থানীয় একাধিক ব্যাক্তির সাথে কথা বলে কিছু তথ্যের ভিত্তিতে অনুসন্ধান চালালে খুলতে থাকে ঘটনার জটলা। জানা যায়, গত মঙ্গলবার বিকেলে স্থানীয় শরিফুল ইসলামকে ডেকে নদীর মাছ শিকারের বুদ্ধি আটে স্কুল শিক্ষক হারুন। সেই কথা মতো রহমিানপুর বাজারের আল-আমীন এগ্রো এন্টার প্রাইজ থেকে ১০০টি গ্যাস ট্যাবলেট ক্রয় করেন শিক্ষক হারুন। এর পর শিক্ষক হারুন এর উপস্থিতিতে শরিফুল ইসলাম ১০০টি গ্যাস ট্যাবলেট ছিটিয়ে দেয় রহিমানপুর বড়াল নদীর মল্লিকপুর ঘাট ঝিকরার দহে। এর পর রাত থেকে নদীর পানিতে ভাঁসতে থাকে বিভিন্ন প্রজাতীর মাছ। আর সেই মাছ খুব সকাল থেকে ঠেলা জাল দিয়ে উঠিয়ে নেন শিক্ষক হারুন ও শরিফুল ইসলাম। কিন্তু কথায় আছে চুরি করলে চিহ্ন রেখো যায় চোর। সেই চিহ্ন হিসেবে নদীর পানিতে ভেঁসে থাকে চিংড়ি,পুটি, কাটা পাতাসি সহ বিভিন্ন দেশিও প্রজাতির মাছ।

বিষয়টি উপজেলার মৎস অধিদপ্তর কে অবহিত করলেও কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। সরেজমিনে গীয়ে সত্যতার প্রমান পেলে সংবাদকর্মীকে টাকা দিয়ে ঘটনা ধামা চাপা দেয়ার চেষ্টাও করেন ওই শিক্ষক। এঘটনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক বিচারের দাবি জানান স্থানীয়রা।

স্ব.বা/বা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *