স্বদেশ বাণী ডেস্ক: প্রতিবছর তামাকজাত পণ্য ব্যবহার ও সেবনে ৬০ লাখ মানুষ মৃত্যুবরণ করেন। আর এই ধরণের মৃত্যুর পেছনে সবচেয়ে আগে যে বিষয়টি সামনে আসে তা হলো ধূমপান। শুধুমাত্র স্বাস্থ্যঝুঁকি হলেও হত কিন্তু এতে রয়েছে বিপুল অর্থ অপচয়।
অনেকে এটা পরিত্যাগের কথা চিন্তা করে বেশ কয়েকবার ধূমপান ছাড়ার কথা ভাবলেও পারেন নি। চলুন জেনে নেই ধূমপান ছাড়বেন যেভাবে-
১) কাছে থাকা সিগারেটের প্যাকেট ডাস্টবিনে ছুঁড়ে ফেলুন এখনি। প্রতিজ্ঞা করুন আর কখনো আর কখনো ধূমপান করবেন না। এবং এই প্রতিজ্ঞায় দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ থাকুন।
২) একদিন ধূমপান না করে অন্যদিনের সাথে সেইদিনের পার্থক্য অনুভব করার চেষ্টা করুন। এরপর দুইদিন, তিনদিন ধূমপান থেকে দূরে থাকুন। তাহলে অভ্যাস গড়ে উঠবে।
৩) আশপাশে যারা এর আগে ধূমপান বর্জন করেছেন তাদের অনুসরণ করুন। তাদের স্বাস্থ্যগত পরিবর্তনটা জানার চেষ্টা করুন।
৪) হিসেবে করে দেখুন প্রতিদিন সিগারেট কিংবা তামাকজাত পণ্যের জন্য আপনার কত টাকা খরচ হয়। তাহলে ধূমপান ছাড়া আপনার জন্য সহজ হবে। সে টাকা জমিয়ে অন্য খাতে খরচ করতে পারবেন।
৫) উল্লেখযোগ্য কারণ হবে যদি আপনার ধূমপায়ী বন্ধুদের সঙ্গ ট্যাগ করতে পারেন। এর ফলে তাদের দেখে আপনার ধুমপান করার ইচ্ছে জাগবেনা।
৬) সিগারেট ছাড়ার পর মুখে চুইংগাম কিংবা আদা চিবোতে পারেন। তাহলে ধূমপানের প্রতি আকর্ষণ কমে আসবে।
৭) যখন ধূমপান করতে ইচ্ছা করবে তখন রাস্তায় হাঁটুন বা অন্য কোন চিন্তা ভাবনায় ডুব মারুন। তাহলে ধূমপানের চাহিদা থাকবে না।
৮) যে কোনো জায়গায় ধূমপান কর্নার থেকে দূরে থাকুন। প্রয়োজনে সেদিকে ফিরে না তাকানোর একটা দৃঢ় অভ্যাস করে ফেলুন।
৯) ধূমপান বিরোধী এবং স্বাস্থ্য সচেতনতার বই পড়ুন। প্রতিদিন আরেকজন ধূমপায়ীকে কিভাবে ভালো পথে আনা যায় সেটা ভাবুন।
১০) চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে কাউন্সেলিং-এর সহায়তা নিতে পারেন। এক্ষেত্রে মনে রাখবেন কখনোই মনের ওপর বেশি চাপ প্রয়োগ করবেন না। তাতে হিতে বিপরীত হওয়ারও সম্ভাবনা থেকে যায়। সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল।
স্ব.বা/শা