স্টাফ রিপোর্টার: একটি অরাজনৈতিক ও সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘কাজলা সমাজসেবা উন্নয়ন সংস্থা। এই সংগঠনের জন্ম থেকেই অসহায় ও দরিদ্রদের কল্যানে কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমান সময়ে মরণঘাতী নভেলা করোনা ভাইরাসের কারণে সারা বিশ্ব এখন থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। বাংলাদেশেও এর প্রভাব এখন ব্যপকহারে বেড়েই চলেছে।
করোনা ভাইরাসের কারণে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত, দরিদ্র ও অসহায় মানুষেরা। তাদের মধ্যে কিছু পরিবারের কর্তা রয়েছেন যারা নিজ মুখে খাবার চাইতেও পারছে না বলতেও পারছে না। তাদের সুবিধার্থে ‘কাজলা সমাজসেবা উন্নয়ন সংস্থার নেতৃবৃন্দরা কিছু ফোন নাম্বর দিয়ে রেখেছেন।
সেই নাম্বরে যোগাযোগ করেছিলেন রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানধীন মিজানের মোড় এলাকার একজন অটো রিকশাচালক এবং তালাইমারী পাওয়ার হাউজ এলাকার একজন নারী।
তাদের ফোন পেয়ে মঙ্গলবার (১২ মে) রাতে মিজানের মোড়ে অটো রিকশাচালক এবং তালাইমারীর ওই নারীর বাড়ীতে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে হাজির ‘কাজলা সমাজসেবা উন্নয়ন সংস্থার নেতৃবৃন্দ। এসময় তাদের হাতে তুলে দেন খাদ্য সামগ্রী। তার মধ্যে রয়েছে চাল, ময়দা ও আলু। এসময় ওই দুই নারী-পুরুষ তারা খাদ্য সামগ্রী পেয়ে খুশি হয়ে নিজ মুখে কাজলা সমাজসেবা উন্নয়ন সংস্থার উত্তর উত্তর সমৃদ্ধি কামনা করেছেন।
ওই দুই পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেন কাজলা সমাজসেবা উন্নয়ন সংস্থার সদস্য, সনি, মোঃ ইসমাইল, জুয়েল, মুরাদ, বিশাল ও ফটো সাংবাদিক মোঃ শামীম প্রমূখ।
জানতে চাইলে সংগঠনের সদস্য মুরাদ বলেন, শুরু থেকেই এই সংগঠন সমাজের অসহায় ও দরিদ্র মানুষদের কল্যানে কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমানে করোনা ভাইরাসের কারণে কর্মহীন হওয়ায় বিপাকে পড়েছে নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত, দরিদ্র ও অসহায় পরিবারগুলো। এই সকল পরিবারের কথা চিন্তা করে ‘কাজলা সমাজসেবা উন্নয়ন সংঘ’ নিজ উদ্যোগে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।
করোনা রোধে ঘরবন্দি মানুষদের মাঝে বিতরণ করে যাচ্ছেন বিভিন্ন ধরণের খাদ্য সামগ্রী। তুলে দিচ্ছেন ওই সকল পরিবারের হাতে। এবারের ঈদুল ফিতর উপলক্ষেও প্রায় অর্ধশতাধীক পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে ঈদ সামগ্রী।
এছাড়াও নিজ উদ্দ্যেগে এবং কিছু সমাজের বিত্তবান ব্যাক্তির সহযোগীতা নিয়েও কর্মহীন, দরিদ্র ও অসহায় ব্যক্তিদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। এই ধরনের খাদ্য সহায়তা বিতরণ অব্যাহত থাকবে।
তাছাড়াও যে পরিবারগুলো প্রকাশ্যে খাদ্য সামগ্রী চাইতে পারবে না তারা সংগঠনের মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করলে তাদের বাড়িতেও খাদ্য সামগ্রী পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হবে।
তেমনি কোন বিত্তবান ব্যাক্তি যদি এই সংগঠনের মাধ্যমেও যে কোন ধরনের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করতে চাইলে আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে নিজ দায়িত্বে ওই সকল পরিবারের মাঝে পৌঁছে দেয়া হবে।
স্ব.বা/শা