বাগমারা প্রতিনিধিঃ শহিদুল ইসলাম (শহিদ)। ছাত্র জীবন থেকেই যুক্ত আ’ লীগ রাজনীতির সাথে, লড়েছেন বিএনপি/ জামায়াত জোটের বিরুদ্ধে। শুধু আ’ লীগ করার অপরাধে ২০০৩ সালে বিএনপি/ জামায়াত জোটের শাসন আমলে বিনা কারনে ১৫দিন কারা বরন করতে হয় এবং সেই সময় একাধিক মামলার আসামী ও হতে হয় শহিদকে।এতো কিছুর পরও তিনি ছেড়ে যাননি রাজপথ ও আ’ লীগের রাজনীতি।
বর্তমানে তিনি আউচপাড়া ইউনিয়ন আ’ লীগের সাধারন সম্পাদক পদে থাকা অবস্থায় আগামী আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বাগমারা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আ’ লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী। শহিদুল ইসলাম(শহিদ)১৯৭৯ সালের ১৫ ই সেপ্টেম্বর বাগমারা উপজেলা আউচপাড়া ইউনিয়নের কানাইশ্বর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়েন হাটগাঙ্গোপাড়া উচ্চবিদ্যালয়ে ৭ম শ্রেনীতে পড়া অবস্থায়। দশম শ্রেনীর ছাত্র থাকা অবস্থায় শহিদ ১৯৯৫ সালে হাটগাঙ্গোপাড়া উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের জিএস নির্বাচিত হন।
১৯৯৫ সালে আউচপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন।২০০১ সালে রাজশাহী কলেজে অর্নাস ২য় বর্ষের ছাত্র থাকা অবস্থায় রাজশাহী কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক নির্বাচিত হন।২০০৫ সালে বাগমারা উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক নির্বাচিত হন।এবং গত ২০১৪ সালের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করে ৭৬০০০( ছিয়াত্তর হাজার) ভোট পেয়ে খুব অল্প ভোটে জামায়াত সমর্থিত প্রাথীর নিকট পরাজিত হন শহিদ। পরাজিত হয়েও শহিদ সবসময় জনগনের সেবায় দলের হয়ে কাজ করছেন।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে শহিদ বলেন আমি জন্মলগ্ন থেকেই আ’লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত।আমার রাজনৈতিক জীবনে আমাকে অনেক মামলা,হামলা,ত্যাগ ও নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে । গত নির্বাচনে আমি ভাইস চেয়ারম্যান পদে অংশগ্রহন করে ৭৬ হাজার ভোট পেয়েছিলাম এবং সামান্য ভোটে পরাজিত হওয়ার পর ও আমি উপজেলার সকল নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছি এবং তাদের সুখে, দুখে পাশে আছি।কাজেই আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দল আমাকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দিলে আমি বিপুল ভোটে বিজয়ী হবো বলে আমি আশাবাদী।