সারোয়ার হোসেন : রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার গোদাগাড়ী ইউনিয়নের আই হাই রাহী গ্রামের মৃত নুরমোহাম্মদের পুত্র ভুমিহীন হযরত আলী (৬০) আই হাই রাহী মৌজায় ২৭ শতক সরকারী খাস সম্পত্তি লীজ নিয়ে বসতঘর নির্মাণ করে প্রায় ৪০ বছর ধরে শান্তিপুর্ণভাবে ভোগ দখল করে আসছেন। এদিকে এই ভুমিহীন পরিবার পুকুর ভাঙনের হাত থেকে বসতঘর রক্ষার জন্য দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরে হতাশ হয়ে পড়েছে। এবার তারা তাদের শেষ আশ্রয়স্থল স্থানীয় সাংসদ ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
জানা গেছে, পুকুর পাড়ে বসতঘর হওয়ায় পুকুরের ধার ভাঙতে ভাঙতে এখন তার বসতঘর রক্ষা কঠিন হয়ে পড়েছে। ভাঙন ঠেকাতে দ্রুত প্রটেকশান নির্মাণ করা না হলে তাদের বসতঘর পুকুরে পরিণত হবে। অন্যদিকে পুকুর পাড়ে প্রটেকশান ওয়াল নির্মাণ করতে গেলে তাদের বাধা দেয়ার পাশাপাশি এলাকা ছাড়া করার হুমকি দেয়া হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, গ্রামের প্রভাবশালী ও কথিত সেভেন স্টার অনুসারী মুত আব্দুস সাত্তারের পুত্র মোস্তফা ওই ভুমিহীন পরিবারকে উচ্ছেদ করে সম্পত্তি দখলে অভিনব কৌশল অবলম্বন করেছেন, আর হাতিয়ার হিসেবে একটি কুঁড়িকে ( জলাশয়) ব্যবহার করছেন।
সরেজমিন দেখা গেছে, ভুমিহীন হযরত আলী ও মোস্তফার বাড়ির মাঝে ফুলকুঁড়ি নামের একটি ছোট জলাশয় রয়েছে। এদিকে মোস্তফা জলাশয়ের তিন দিকে পাকা প্রটেকশান ওয়াল নির্মাণ করে শুধুমাত্র ভুমিহীনদের দিকে ফাঁকা রেখে পুকুরে হাঁসচাষ করেছে। এতে প্রতিনিয়ত কুড়ির পাড় ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে পৌনে এক বিঘা আয়তনের কুড়ি এখন প্রায় তিন বিঘা পুকুরে পরিনত হয়েছে। এদিকে ভুমিহীনরা তাদের বসতঘর রক্ষায় প্রটেকশান ওয়াল দিতে গেলে তাদের বাধা দেয়া হচ্ছে। মোস্তফার উদ্দেশ্যে প্রটেকশান ওয়াল দিতে না পারলে এভাবে ভাঙতে ভাঙতে ভুমিহীনের পুরো বসতঘর এক সময় পুকুরে পরিণত হবে।
স্থানীয়রা মানবিক দিক বিবেচনা করে ভুমিহীন পরিবারকে আইনি সহায়তা প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে মোস্তফা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
স্ব.বা/বা