রাজশাহী বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৬১ জনের করোনা শনাক্ত

বিশেষ সংবাদ রাজশাহী লীড

স্টাফ রিপোর্টার: গত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী বিভাগে ৬১ জনের প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৫১ জনের করোনা ধরা পড়েছে বগুড়ায়। এ নিয়ে বিভাগে সর্বোচ্চ ২৪০ জনের করোনার শনাক্ত হলো বগুড়ায়।

এছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জে তিন জন, নাটোর ও পাবনায় দুজন করে এবং জয়পুরহাট ও সিরাজগঞ্জে একজনের করে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে বিভাগে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭২৩ জনে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. গোপেন্দ্র নাথ আচার্য্য এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, এ পর্যন্ত বিভাগের আট জেলায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ৭২৩ জনের। এরমধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ২২১ জন। করোনায় প্রাণ গেছে বিভাগে এ পর্যন্ত ৫ জনের। তবে করোনা জয় করে ঘরে ফিরেছেন ১৯০ জন।

বিভাগে এখনও করোনার হটস্পট বগুড়া। এই জেলায় সবমিলিয়ে করোনা শনাক্ত হয়েছে ২৪০ জনের। এরমধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ধরা পড়েছে ৫১ জনের। এই জেলার ৪০ করোনা আক্রান্ত এখনও হাসপাতালে। করোনা জয় করেছেন ২৬ জন। এ পর্যন্ত বগুড়ায় করোনায় প্রাণ গেছে একজনের।

বিভাগে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৬৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে জয়পুরহাট জেলায়। এই জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১৫৭ জন। করোনা জয় করেছেন এখানকার ৭০ আক্রান্ত। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ধরা পড়েছে একজনের।

বিভাগে করোনা আক্রান্তের দিক দিয়ে তৃতীয় অবস্থানে নওগাঁ জেলা। এই জেলায় এ পর্যন্ত করোনা ধরা পড়েছে ১০৬ জনের। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নওগাঁর ৬ জন। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন ৬৩ জন। তবে ২৪ ঘণ্টায় নওগাঁয় করোনা শনাক্ত হয়নি।

এই ২৪ ঘণ্টায় করোনা ধরা পড়েনি রাজশাহী জেলাতেও। এই জেলায় সবমিলিয়ে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪৬ জন। এখানকার ৮ করোনা রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আর করোনা জয় করেছেন এখানকার ১১ জন। এ পর্যন্ত করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন রাজশাহীর দুইজন।

গত ২৪ ঘণ্টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জে তিন জন, নাটোর ও পাবনায় দুজন করে এবং সিরাজগঞ্জে একজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৫২ জন, নাটোরে ৫৪ জন, পাবনায় ৩৪ জন এবং সিরাজগঞ্জে ২৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

এর মধ্যে নাটোর ও সিরাজগঞ্জে একজন করে প্রাণ হারিয়েছেন করোনায়। তবে করোনা জয় করেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও সিরাজগঞ্জে তিন জন করে, পাবনায় ৫ জন এবং নাটোরে ৯ জন।

স্বাস্থ্য বিভাগের হিসাবে, বিভাগে এ পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয় ৩৬ হাজার ৯১৫ জনকে। এর মধ্যে কোয়ারেন্টাইন শেষ করেছেন ২৯ হাজার ৮১৮ জন। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে ৫৬০ জনকে। এদের ৫০০ জন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন শেষ করেছেন। চিকিৎসার জন্য ৪৪৯ জনকে আইসোলেশনে নেয়া হলেও ছাড়পত্র পেয়েছেন ৩০৪ জন।

স্ব.বা/বা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *