নাটোরে চিকিৎসা নিতে এসে শ্লীলতাহানীর শিকার গর্ভবতী গৃহবধূ 

রাজশাহী লীড
নাটোর প্রতিনিধিঃ গর্ভবতী এক গৃহবধু (২৫) চিকিৎসা নিতে এসে কাজী আবু বক্কার সিদ্দিক নামের এক মেডিকেল টেকনোলজিষ্টের হাতে শ্লীলতাহানীর শিকার হয়েছেন। এঘটনায় ভুক্তভোগি ওই গৃহবধূর স্বামী থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। বৃহস্পতিবার (২৮ মে) দুপুরে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওই ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্ত আবু বক্কার সিদ্দিক নাটোর সদরের বাসিন্দা তিনি।
শ্লীলতাহানির শিকার ওই গৃহবধূ অভিযোগ করে বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি স্বামীর সঙ্গে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গর্ভকালিন টিকা নিতে আসেন। এ সময় অভিযুক্ত আবু বক্কর সিদ্দিক তার স্বামীকে কৌশলে বের করে দেন। টিকা দেওয়ার নামে ওই মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট তাকে কুপ্রস্তাব দেয় এবং তার শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়। আবু বক্করের এমন ব্যাবহারের একপর্যায়ে তিনি চিকিৎসা না নিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বেরিয়ে আসেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের কয়েকজন চিকিৎসক জানান, আবু বক্কার সিদ্দিক নামের ওই মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট প্রায় তিন বছর আগে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদান করেন। এরপর থেকেই বিভিন্ন সময়ে তার বিরুদ্ধে নারী কেলঙ্কারীসহ বিভিন্ন ধরণের অভিযোগ রয়েছে। তিনি হাসপালের এক নারী মেডিকেল অফিসারকেও যৌন হয়রানী করেছেন। সেই বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।
ওই গৃহবধুর স্বামী অভিযোগ করেন, চিকিৎসা না নিয়েই তার স্ত্রী কাঁদতে কাঁদতে ওই মেডিকেল টেকনোলজিষ্টের কক্ষ থেকে বেরিয়ে আসেন। বাড়ি ফিরে তার স্ত্রী বিষয়টি পরিবারের লোকজনের কাছে খুলে বলেন। বিষয়টি নিয়ে তিনি গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তারা ওই লম্পট মেডিকেল টেকনোলজিষ্টের শাস্তি দাবি করেন।
মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট এ ব্যাপারে কোন বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
শ্লীলতাহানির সত্যতা নিশ্চিত করে আবাসিক মেডিকেল অফিসার মোঃ রবিউল করিম শান্ত বলেন, ঘটনার পর পরই টোকরেনালজিষ্টকে স্থানীয় রোষানল থেকে রক্ষা করতে হাসপাতালের একটি কক্ষে রাখা হয়েছিল। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির জিম্মায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোজাহারুল ইসলাম বলেন, এ ব্যাপারে থানায় কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হবে।
নাটোরের সিভিল সার্জন মো. মিজানুর রহামন বলেন, বিষয়টি নিয়ে উপজেলা পরিবার কল্পনা কর্মকর্তাকে তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া আগের বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শেষ পর্যায়ে রয়েছে। প্রতিবেদন দুটি পওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

স্ব.বা/বা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *