স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী মহানগরীর পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন মহানগরী গড়তে সকল কোচিং সেন্টারের পরিচালক ও প্রাইভেট টিউশন এ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের সহযোগিতা কামনা করেছেন সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নগরভবনের সভাকক্ষে এক মতবিনিময় সভায় সহযোগিতা কামনার পাশাপাশি যত্রতত্র ব্যানার-ফেস্টুন না লাগানো এবং ঢালাওভাবে লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে শহর অপরিচ্ছন্ন না করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের আয়োজিত সভায় মহানগরীর বিভিন্ন কোচিং সেন্টারের পরিচালক ও প্রাইভেট টিউশন এ্যাসোসিয়েশনের সদস্যবৃন্দ অংশ নেন।
মতবিনিময় সভায় কোচিং সেন্টারের পরিচালক ও প্রাইভেট টিউটররা বলেন, আমরাও শহরকে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চাই। এ ব্যাপারে আমরা সার্বিক সহযোগিতা করবো। প্রত্যেককে নিজ নিজ জায়গা থেকে সচেতনতা সৃষ্টিতেও কাজ করব।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতায় ২০১০ সালে সেরা নগরীর স্বীকৃতি পেয়েছিল রাজশাহী। পরিবেশ পদকও পেয়েছি আমরা। ২০১৩ সালে অন্য একজন মেয়রের দায়িত্ব আসলে সবক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ে রাজশাহী। শহরের পরিস্কার-পরিছন্নতা ও সৌন্দর্য্য ম্লান হয়ে পড়ে। ২০১৮ সালে দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত হয়ে প্রথমেই শহরের হারিয়ে যাওয়া সৌন্দর্য্য ফেরাতে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে সবচেয়ে বেশি অগ্রধিকার দিয়েছি। আমরা চাই ঝকঝকে-তকতকে সুন্দর নগরী। এজন্য সবার সহযোগিতা কামনা করছি।
মেয়র লিটন আরো বলেন, মহানগরীতে কোনো ধরনের দেয়াল লিখন চলবে না। যত্রতত্র ব্যানার-ফেস্টুন লাগানো যাবে না। স্কুল-কলেজের সামনে লিফলেট বিতরণ করে সেসব লিফলেট সেখানে পড়ে থাকে, আবর্জনার সৃষ্টি হয়। এ ব্যাপারে সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। আগামীতে নগরীর ৫০টি পয়েন্টে ব্যানার লাগানোর জায়গা করার পরিকল্পনা রয়েছে।
মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন আরো বলেন, প্রচার সামগ্রী পরিবর্তনের সময় এসেছে। উন্নত বিশে^ পোস্টার লাগানো হয় না। ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রচার-প্রচারণা চালানো হয়। আপনারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রচার চালাতে পারেন।
তিনি আরো বলেন, যারা ট্রেড লাইসেন্স ও অনুমোদন ছাড়াই প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছেন, তাদের অনুমোদনের আওতায় আসার আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা চাই সম্মানের সাথে যাতে আপনারা প্রতিষ্ঠান চালাতে পারেন। এজন্য একটি নীতিমালা করতে চাই। আজকে আলোচনা হলো, এটি চলমান থাকবে। আমরা সার্বিক দিয়ে চমৎকার শহর গড়তে চাই। এক্ষেত্রে আপনাদের সবার সহযোগিতা কামনা করছি।
সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র-১, ১২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা স্থায়ী কমিটির সভাপতি সরিফুল ইসলাম বাবুর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামাল হোসেন, ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মোমিন, ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন, সচিব রেজাউল করিম, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ মো. মামুন ডলার, প্রাইভেট টিউশন এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মীরশাদ, সান ডায়াল কোচিং সেন্টারের পরিচালক আহসানুর রহমান প্রমুখ।