স্বদেশ বাণী ডেস্ক: দেশ ব্যাপী জনপ্রিয় একটি গান ‘মধু হই হই’। কোনো আঞ্চলিক গান এতোটা জনপ্রিয় হতে পারে তা হয়তো প্রথমে কারও ভাবনায় আসেনি। গানটির কথাগুলোও ঠিকমতো বোধগম্য নয় দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের কাছে। অথচ এই গানের প্রথম দুই লাইন গাইতে জানেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল।
গানটি সারা দেশে জনপ্রিয়তা পায় খুদে শিল্পী জাহিদের কণ্ঠে। রাতারাতি তারকায় পরিণত হয় সে। কিন্তু কে এই গানের মূল শিল্পী? সে প্রশ্ন করেও জবাব মেলেনি এতোদিন।
তবে এবার প্রকাশ্যে এলেন তিনি। তিনি দারুচিনি দ্বীপের দেশ সেন্ট মার্টিনের মাছ শিকারী আবদুর রশীদ মাস্টার। এতোদিন আড়ালে ছিলেন মধু হই হই গানের এই স্রষ্টা। তাকে সামনে আনার দায়িত্বটাও পালন করেছে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক টেলিভিশন সিপ্লাস টিভি।
সিপ্লাস টিভিতে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে আবদুর রশীদ জানালেন জনপ্রিয় এই গানের পেছনের গল্প। সিপ্লাস টিভির এডিটর ইন চিফ আলমগীর অপুর সঙ্গে আলাপচারিতায় আবদুর রশীদ জানান, ২০০০ সালের আগে সেন্ট মার্টিনসে কোনো প্রবালের ওপর বসেই গানটির সৃষ্টি হয়। প্রেমিকা মীনারাকে হারিয়ে এই গান বাঁধেন তিনি। গানটি প্রবালের দ্বীপে ঘুরতে আসা পর্যটকদের শোনাতেন তিনি।
এভাবেই গানটি ফয়সাল সিদ্দিকী বগির হয়ে চলে আসে ফোক-ফিউশন শিল্পী সন্দীপন দাসের হাতে। তিনি তার প্রথম অ্যালবাম ‘সোনাবন্ধু’তে গানটি ব্যবহার করেন।
তখনও তাদের কেউ এর গীতিকার ও সুরকার কে জানতেন না বলে সংগৃহীত বলে অ্যালবামে গানটি প্রকাশ করেন। এ বিষয়ে সন্দীপন দাস বলেন, রশীদ ভাইয়ের সঙ্গে নিয়মিত আমার যোগাযোগ হয়। আমরা ভালো বন্ধুও। তার মেধাকে আমি সম্মান করি। এখন গানটি পরিবেশনের সময় তার কথা আগে জানিয়ে দিই শ্রোতাদের।’
সেন্ট মার্টিনে গেলে এখনও পর্যটকরা শুনে আসতে পারেন মূল শিল্পীর কন্ঠে এই মধু হই হই গানটি।