আল-আফতাব খান সুইট, নাটোর: নাটোরের লালপুর উপজেলা প্রশাসন বা বনবিভাগের কোনো প্রকার অনুমতি না নিয়ে সরকারি জায়গা থেকে দুটি মূল্যবান মেহগনি গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ১৯৮৯ সালে উপজেলা প্রশাসনের জায়গায় স্থাপিত কাকলি কেজি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
গতকাল (১১ জুন) শ্রমিক লাগিয়ে বড় বড় দুটি মেহগনি গাছ কেটেছেন তিনি। এবং আরো ৮টি গাছ কাটার জন্য শ্রমিক নিযুক্ত করেছেন।
সেসময়ে গাছ কাটা শমিকদের কাছে জানতে চাইলে তারা জানান, কাকলি কেজি স্কুলের প্রধান শিক্ষক সাইফুজ্জামান লিটনের নির্দেশে তারা ১০টি গাছ কাটার কাজ শুরু করেছেন। ওই ১০টি মেহগুনি গাছের আনুমানিক মূল্য ৫ লাখ টাকা।
উপজেলা বা বন বিভাগের অনুমতি নিয়েছেন কিনা বিষয়ে স্কুলের অধ্যক্ষ সাইফুজ্জামান লিটনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জায়গাটি সরকারি বা উপজেলা প্রশাসনের হলেও গাছগুলি স্কুল কর্তৃপক্ষ রোপন করেছিলেন। ঝড়ে গাছ গুলি পড়ে যাওয়াসহ ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার কারণে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অনুমতি নিয়েই তিনি গাছগুলি কাটছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা বন কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম জানান, স্কুলের পক্ষ থেকেই অনেক আগে গাছগুলো রোপণ করা হয়েছিল। তবে গাছ কাটার বিষয়ে বন বিভাগ কিছু জানে না।
লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মুল বানীন দ্যুতি এ বিষয়ে জানান, উপজেলা প্রশাসনের কাছে কাকলী স্কুলের পক্ষ থেকে ঝড়ে পড়া গাছগুলি কাটার রেজুলেশনসহ আবেদন করেছেন। কিন্তু তিনি গাছ কাটার কোন অনুমতি দেননি। অভিযোগ পেলে ক্ষতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান ইউএনও।
স্ব.বা/বা