পূজা পরিকল্পনা

বিনোদন

পূজা মানেই হুল্লোড়ের অপেক্ষা। অপেক্ষা অনেকদিন না দেখা বন্ধুদের। পূজা মানেই জমিয়ে খাওয়া। সারা বছর অপেক্ষার পর নিজের স্টাইল স্টেটমেন্টকে নতুন করে তুলে ধরা। জেনে নিন এবার কার পূজা কোথায়, কেমন কাটছে

পূজায় কলকাতা থাকতেই ভালোবাসি : রাইমা সেন

এবার পূজাতেও কলকাতায় আছি। অনেক অ্যাপিয়ারেন্স থাকে। প্যান্ডেলে ঘোরা, ফিতে কাটা, জাজিং। আমার তো মনে হয়, পূজাতেই সবচেয়ে বেশি কলকাতায় থাকি। কখনো কোথাও যাই না পূজাতে। বন্ধুরা বেড়াতে যায়। কিন্তু আমি ভাবি, এটা তো সবচেয়ে ব্যস্ত সময়। সারা বছর কাজের খাতিরে মুম্বাইতে থাকলেও পূজাতে বাবা-মায়ের সঙ্গে সময় কাটাতে ভালোবাসি। আমি পূজায় কোথাও গেলে একটু কমফর্টেবল কিছু পরে যাই। এত দৌড়াদৌড়ি করতে হয়। কোনো কোনো সময় শাড়ি পরে সেটা সম্ভব হয় না। আদারওয়াইজ খুব লাইট, কমফর্টেবল শাড়ি পরি। যেটা দেখতেও ভালো। ভারী কিছু পরি না। যে কোনো অনুষ্ঠানেই প্র্যাকটিক্যাল ওয়্যার আমার পছন্দের।

পাঁচটা দিন কোনো কিছু মানব না : কৌশানী

বাঙালিদের তো পূজা মানেই শপিং। মেয়েদের তো স্পেশ্যাল শপিং মাস্ট। পূজায় আমি কলকাতায় থাকছি এবার। লাস্ট কয়েক মাস সিনেমার শুটিংয়ে প্রচুর আউটডোর হয়েছে আমার। প্রচুর শপিংও করেছি। দেখুন, বছরে তো একবারই এই পাঁচটা দিন। সুতরাং নো কম্প্রোমাইজ। আমি কলকাতার বাইরে যেতে চাই না। কলকাতার আসল সৌন্দর্যটা পূজার সময় যেভাবে দেখা যায়, অন্য সময় দেখা যায় না। আমি এটা মিস করতে চাই না। এবারো হয়তো পূজার সময় দেখতে পাবেন ফুচকা খাচ্ছি, প্যান্ডেলে ঘুরছি, অথবা ফ্যানেদের সঙ্গে সেলফি তুলছি। আমি খুব ভালোবাসি এগুলো। পূজার সময় শুধু বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটাব। বাড়িতে থাকার প্রশ্নই নেই। অষ্টমীতে শাড়ি পরব ভেবেছি। নবমীতে সালোয়ার বা লেহেঙ্গা। আর একটা ব্যাপার। পূজার আগে এখন মেনটেন করে নিচ্ছি। জিম করছি। যাতে পূজাতে মেনটেন না করতে হয়। ওই পাঁচটা দিন কোনো কিছু মানব না। সব খাব। অষ্টমীর দিন বাঙালি খাবার মাস্ট। আমার নতুন ফ্ল্যাটে দুর্গামূর্তি প্রতিষ্ঠা করেছি। চতুর্থীর দিন পূজা হবে। এখন থেকেই বাঙালি মেনু তৈরি হচ্ছে। আমরা একটা দিনই পূজা করি।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *