স্বদেশ বাণী ডেস্ক: বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪৬ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২ হাজার ১৯৭ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও ৩ হাজার ৪৮৯ জন। এ নিয়ে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল এক লাখ ৭২ হাজার ১৩৪ জনে।
করোনাভাইরাস বিষয়ে বুধবার (৮ জুলাই) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়। অনলাইনে বুলেটিন উপস্থাপন করেন অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৫ হাজার ৮৮৩টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ১৫ হাজার ৬৭২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো আট লাখ ৮৯ হাজার ১৫২টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও তিন হাজার ৪৮৯ জনের মধ্যে। ফলে শনাক্ত করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল এক লাখ ৭২ হাজার ১৩৪ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ৪৬ জন। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ১৯৭ জনের। তাদের মধ্যে পুরুষ এক হাজার ৭৪১ ও নারী ৪৫৬ জন। শতাংশের হিসাবে পুরুষ ৭৯ দশমিক ২৪ এবং নারী ২০ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
বয়স ও বিভাগ অনুযায়ী মৃত্যু
মৃত ৪৬ জনের মধ্যে ২০ বছরের বেশি বয়সী দুজন, ত্রিশোর্ধ্ব দুজন, চল্লিশোর্ধ্ব একজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১৫ জন, ষাটোর্ধ্ব ১৬ জন, সত্তরোর্ধ্ব ছয়জন, ৮০ বছরের বেশি বয়সী তিনজন এবং ৯০ বছরের বেশি বয়সী একজন।
মৃতদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ১২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ১৪, রাজশাহী বিভাগের তিন, খুলনা বিভাগের ৯, রংপুর বিভাগের এক, সিলেট বিভাগের চার এবং বরিশাল বিভাগের তিনজন। এর মধ্যে ৩৮ জন মারা গেছেন হাসপাতালে বাকি আটজন বাসায়।
করোনাভাইরাসে মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে- ঢাকা বিভাগে ৫০ দশমিক ৮০ শতাংশ, চট্টগ্রামে ২৫ দশমিক ৯৯ শতাংশ, রাজশাহীতে ৫ দশমিক এক শতাংশ, খুলনায় ৪ দশমিক ৮২ শতাংশ, বরিশালে ৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ, সিলেটে ৪ দশমিক ৩২ শতাংশ, রংপুরে ৩ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ২ দশমিক ৩৭ শতাংশ রয়েছেন।
২৪ ঘণ্টায় সুস্থ
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ২ হাজার ৭৩৬ জন। এতে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮০ হাজার ৮৩৮ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় যে ৪৬ জন মারা গেছেন, তাদের মধ্যে পুরুষ ৩৮ জন এবং নারী ৮ জন।
শনাক্ত, সুস্থতা ও মৃত্যুর হার
বুলেটিনে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ২২ দশমিক ২৬ শতাংশ। সবমিলিয়ে, নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৩৬ শতাংশ। এখন পর্যন্ত রোগী শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৪৭ দশমিক ৯৬ এবং মৃত্যুর হার এক দশমিক ২৮ শতাংশ।
স্ব.বা/বা