স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী নওদাপাড়ায় কয়েকমাস আগে ঘটেযাওয়া মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনায় আহত সবুজ আহম্মেদকে দেখার কেউ নেই। গত ১৫ আগষ্ট জাতীয় সেই শোকের দিনে রাজশাহীবাসিকে আরো শোকাহত করে তুলেছিলো মর্মান্তিক এক সড়ক দূর্ঘটনায়। ঘাতক বাস চালক কেড়ে নিয়েছিলো একটি ফুটফুটে মেয়ে শিশু সহ তিনটি তরুতাজা প্রাণ। নিমিষেই দানবের মত রাস্তা থেকে পাশের দোকানে উঠে পড়েছিলো ঘাতক বাসটি। সাথে সাথে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারিয়েছিলো তিনটি মানুষ।
সেই মর্মান্তিক দূর্ঘটনায় নিশ্চিত মৃত্যু থেকে বেচে এসেছিলো রাজশাহী নগরীর মালদাহ কলোনী বখতিয়ারাবাদের বাবুল ইসলামের ছেলে সবুজ আহম্মেদ। দূর্ঘটনায় তার ডান পায়ের হাড় ও তিনটি দাঁত ভেঙ্গে যায়। এছাড়াও থুতনি, নাক ও ডান চোখের ভুরু কেটে যায় তার। প্রায় চার মাস বিছানায় পড়ে থেকে কোন রকমে চিকিৎসা করিয়েছেন তিনি। অর্থের অভাবে এখন বাকি চিকিৎসা করাও সম্ভব হচ্ছেনা। এখন লাঠিতে ভর করে কোন রকমে সামান্য চলাফেরা করছে আহত সবুজ।
বিএ পাশ করা সবুজ যেখানে এখন কোন চাকুরির জন্য ছোটাছুটি করার কথা সেখানে বাকি চিকিৎসা করে জীবন চালিয়ে যাওয়ায় কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে তার।
সড়ক দূর্ঘটনার পর নিহত ও আহতদের পরিবারকে সহযোগীতা করার কথা জানিয়েছিলেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ও রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা। কিন্তু এখন পর্যন্ত কারো কোনো সাহায্য সহযোগীতা পাননি বলে জানান সেই দিনের দূর্ঘটনায় আহত সবুজ। যা দিয়ে চিকিৎসা বা বাকি জীবন পরিচালনা করবেন তিনি।
আহত সবুজ বলেন, অর্থ সংকটে ভালো চিকিৎসা করতে পারছিনা। চিকিৎসা খরচ চালাতে না পেরে এখন বাসায় অবস্থান করছি।
তিনি বলেন, নগর পিতা এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ও রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা বা যে কোনো হৃদয়বান মানুষের দৃষ্টি আকর্ষন করছি তারা আমাকে অর্থ বা কোনো কর্ম দিয়ে সহযোগীতা করলে আমার বাকি জীবনের চলার পথ সহজ হবে।