চারঘাট প্রতিনিধি: রাতের আঁধারে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে ভারতীয় গরু। রাজশাহীর চারঘাট ও বাঘা সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে গরু-মহিষের সঙ্গে আসছে ভারতীয় চোরাকারবারি দল।
এতে করে করোনাকালে সীমান্তে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি। সরকার হারাচ্ছে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন স্থানীয় খামারিরা।
তবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) দাবি, রাতের আঁধারে গরু ও মহিষ আসছে সেটি তাদের অজানা। তবে গত কয়েক দিন আগে ভারত থেকে রাতের আঁধারে আসা দুটি মহিষ আটকের সত্যতা স্বীকার করেছে বিজিবি।
সীমান্তবর্তী চারঘাট ও বাঘা উপজেলার রাওথা, মীরগঞ্জ ও আলাইপুর এলাকাবাসীর অভিযোগ, রাওথা, মীরগঞ্জ ও আলাইপুর এলাকার চিহ্নিত কয়েকটি চোরাকারবারি দল স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে রাতের আঁধারে ভারত থেকে গরু ও মহিষ আনছে।
সেগুলো ভোর রাতের মধ্যেই পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে উত্তরবঙ্গে বড় গরু-মহিষের হাট রাজশাহী সিটি হাটে। আর সেখান থেকে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন হাটবাজারে। এতে করে যেমন করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকছে, তেমনি সরকার হারাচ্ছে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেস স্থানীয় খামারিরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভারত থেকে অবৈধভাবে গরু ও মহিষ নিয়ে আসার কাজে নিয়োজিত এক রাখাল বলেন, আমরা সাঁতরিয়ে ভারত থেকে এক জোড়া গরু ও মহিষ আনলে আমাদের দেয়া হয় ২০ হাজার টাকা। আর চোরাকারবারিরা ভারতীয় চোরাকারবারিদের কাছ থেকে নেয় প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা।
চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আতিকুল হক বলেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর দিক থেকে বিশ্বের তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। সেই ভারত থেকে গরু ও মহিষসহ ভারতীয় নাগরিকের বাংলাদেশে প্রবেশে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়তে পারে। সূত্র: যুগান্তর।
বিষয়টি সম্পর্কে বিজিবির আলাইপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার আবু তালেব দুটি মহিষ আটকের সত্যতা স্বীকার করলেও গরু-মহিষ আলাইপুর দিয়ে প্রবেশ করার কথা অস্বীকার করেছেন।
তবে মীরগঞ্জ ও রাওথা এলাকা দিয়ে গরু-মহিষ আসার সংবাদে তিনি সেখানেও অভিযান চালাচ্ছেন বলে দাবি করেন বিজিবির ওই কর্মকর্তা।
স্ব.বা/শা