রাজনীতির মাঠে দিশেহারা রাব্বানী, মৃত ব্যক্তির নাম ভাঙ্গিয়ে এমপির বিরুদ্ধে মিথ্যাচার 

রাজশাহী
সারোয়ার হোসেন,তানোর: রাজশাহীর তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের পদপদবী হারিয়ে রাজনীতির মাঠে দিশেহারা হয়ে পড়েছে মেয়র গোলাম রাব্বানী বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও মৃত ব্যক্তির নাম ভাঙ্গিয়ে এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে যাচ্ছেন মেয়র গোলাম রাব্বানী বলেও নেতাকর্মী সমর্থকদের মধ্যে গুঞ্জন বইছে। এতে করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত ৩বারের সফল এমপি ও সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে রাব্বানীর মিথ্যাচার এলাকাজুড়ে দেখা দিয়েছে চাঞ্চল্য ও নেতাকর্মী সমর্থকদের মধ্যে বইছে রাব্বানীর শাস্তির দাবিতে উত্তেজনা।
জানা গেছে, চলতি মাসের ২২ আগস্ট শনিবার বিকেলে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ও ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় প্রতিবাদ সভা করার নামে মুন্ডুমালা বাজার আওয়ামী লীগ পার্টি অফিসে এমপির বিরুদ্ধে মিথ্যাচার সভা করা হয়েছে। আর সেই সভায় প্রয়াত উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মরহুম সাফিউল ইসলামের নাম ভাঙ্গিয়ে মেয়র গোলাম রাব্বানী বলেন, আমাকে বারবার করে সাফিউল সাহেব বলেছেন বেটা ফারুক চৌধুরীকে দলে নিওনা, সে দলকে শেষ করে দিবে। সে কথায় কথায় পিস্তল বের করে। কিন্তু আমি তাকে আওয়ামী লীগে নিয়ে আসি। আর সেটাই ছিল আমার ভুল। হাইব্রিড কখনো আওয়ামী লীগ হয়না তারাই প্রমান ফারুক চৌধুরী বলে মেয়র গোলাম রাব্বানীর মিথ্যাচার করে অপপ্রচার করেন। যা তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী সমর্থকরা মেনে নিতে না পেরে মেয়র গোলাম রাব্বানীর উপর ক্ষিপ্ত হয়ে তার শাস্তির দাবিতে উত্তেজিত হয়ে উঠে সভার নেতাকর্মী সমর্থকরা।
জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শরিফ খান বলেন, আসলেই রাব্বানী একজন বেঈমান নেতা। তা না হলে এমপির মতো একজন মানুষের নামে সে কি ভাবে মিথ্যাচার গীবত করে। এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী কোন হাইব্রিড নেতা সে একজন শহীদ পরিবারের সন্তান, সে জাতীয় চার নেতার একনেতা এএইচ এম কামারুজ্জামানের সুযোগ্য ভাগ্নে। তার শরীরে বইছে শহীদ পরিবারের রক্ত সে কিভাবে হাইব্রিড হয় হাইব্রিড তো রাব্বানী। সে দাবি করে শতবর্ষের রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। আসলে তারা শতবর্ষের বেঈমান পরিবার। তাদের পরিবারের রাজনীতি শুরু ফ্রিডোম পার্টি দিয়ে আর শেষ ওয়ার্কাস পার্টি দিয়ে।
আজ যদি এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী রাব্বানী কে দলের নাম ভাঙ্গিয়ে  বানিজ্য করতে দিত তাহলে এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী ভালো হত। কিন্তু এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী একজন শহীদ পরিবারের সন্তান সে কখনো আওয়ামী লীগের নাম ভাঙ্গিয়ে কাউকে চাঁদাবাজি, নিয়োগ বানিজ্য করতে দিবেনা। যা মেয়র গোলাম রাব্বানী করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তা আমাদের এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী করতে না দেয়ায় তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার করা হচ্ছে। তানোরের মানুষ জানে এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী কোন পরিবারের সন্তান। সে মাদকের গডফাদার না,সে কোন হাইব্রিড নেতা না। সে সম্মানিত পরিবারের সন্তান।  তাই তার বিরুদ্ধে কোন মিথ্যা অপপ্রচার করে লাভ নেই। যতই ষড়যন্ত্র ততই আরো জনপ্রিয় হচ্ছে এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী ও তার দল।

স্ব.বা/বা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *