স্টাফ রিপোর্টার : ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজশাহী কলেজে নির্মিত হয় প্রথম শহিদ মিনার। তবে এই শহিদ মিনারের নেই রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি। প্রথম শহিদ মিনারের স্বীকৃতি দাবিতে ৯ ফেব্রুয়ারী (শনিবার) জনমত গঠন করতে অনলাইন ভোটিং কার্যক্রম শুরু করে রাজশাহী কলেজ রিপোর্টার্স ইউনিটি (আরসিআরইউ)।
প্রথম শহীদ মিনারের স্বীকৃতির দাবিতে চলমান এই অনলাইন কার্যক্রম ধীরে ধীরে বেগবান হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ১০ হাজার মানুষ এ দাবির পক্ষে সমর্থন জানিয়েছেন। তারই ধারাবাহিকতায় রোববার অনলাইন ভোটিং কার্যক্রম শুরু হয়েছে রাজশাহীর অন্যতম সুনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিউ গভঃ ডিগ্রী কলেজে। কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর এসএম জার্জিস কাদির ভোট দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করেন।
এসময় তিনি বলেন, ভাষা আন্দোলনে রাজশাহীবাসীর অনেক বেশি অবদান রয়েছে। ঢাকায় শহীদদের সম্মানার্থে রাজশাহী কলেজ মুসলিম হোস্টেলে দেশের প্রথম শহীদ মিনার নির্মিত হয়। এটা আমরা ভাষা সৈনিকদের কাছে ও অন্যান্য দালিলিক প্রমাণ থেকে জেনেছি। দেশের প্রথম শহীদ মিনারের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি রাজশাহীবাসীর প্রাণের দাবি। রাজশাহী কলেজ রিপোর্টার্স ইউনিটি এমন একটি মহান উদ্যোগ গ্রহণ করায় আমি তাদের আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই। এছাড়াও তিনি এ আন্দোলনে রাজশাহীর শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের মানুষকে অংশগ্রহনের আহ্বান জানান।
রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি বাবর মাহমুদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান নূরের পরিচালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন নিউ গভঃ ডিগ্রী কলেজ উপাধ্যক্ষ প্রফেসর প্রফেসর ড. মো. অলীউল আলম, যুক্তিবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবু সাঈদ, অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুল মালেক, কমিউনিটি অনলাইন সংবাদপত্র ‘বরেন্দ্র এক্সপ্রেস’র সস্পাদক ফেরদৌস সিদ্দিকীসহ কলেজের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি ঢাকায় নিহতের খবর শুনে সেদিন সন্ধ্যার পরে রাজশাহী কলেজের মুসলিম হোস্টেলের সামনে এ-বক্ল এর পূর্ব দিকে শহীদদের স্মরণে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ একটি শহীদ মিনার বা শহীদ স্মৃতি স্তম্ভ গড়ে তোলে। ভাষা আন্দোলনে যারা সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছিলেন-তারা এটির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি জানিয়ে আসছিলেন। দীর্ঘদিন ধরেই কথা বার্তা হলেও এখনো মেলেনি স্বীকৃতি। এই দাবিতে এই অনলাইন ভোটিং কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ভোটিং শেষে আবেদন পৌঁছে যাবে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে।
প্রথম শহীদ মিনারের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দাবিতে সবাইকে অনলাইন আবেদনে অংশ নেয়ার আহবান জানিয়েছেন রাজশাহী কলেজ রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি বাবর মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান। তারা বলেন, চাইলে যে কেউ যে কোন স্থান থেকে (barendraexpress.com.bd/firstshahidminar) এই লিংকে গিয়ে অনলাইন আবদনে অংশ নিতে পারবেন। এই দাবির পক্ষে কারো কাছে দালিলিক প্রমাণ থাকলে তা দিয়েও সহায়তার আহ্বান জানান আয়োজকরা।