বাগাতিপাড়া প্রতিনিধি: নাটোরের বাগাতিপাড়ায় হাঁস চরানো নিয়ে দ্বন্দের জেরে প্রতিপক্ষ স্বপ্না খাতুন (২৫) নামের এক নারীর কান কেটে দিল অপর এক নারী। বুধবার সকালে উপজেলার জামনগর ইউনিয়নের ভিতরভাগ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত স্বপ্না খাতুনকে বাগাতিপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি ভিতরভাগ গ্রামের শফিকুল ইসলামের মেয়ে। স্বপ্না খাতুন জানান, তিনি স্বামী পরিত্যক্তার কারনে বাবার বাড়িতে থাকেন এবং পার্শ্ববর্তী পুঠিয়ায় একটি ক্লিনিকে চাকরি করেন।
ব্যক্তিগত কারনে কিছুদিন থেকে তিনি ছুটি নিয়ে বাড়িতে ছিলেন। বুধবার সকাল আটটার দিকে বাড়ি থেকে প্রতিপক্ষের আঙ্গিনা সংলগ্ন রাস্তা দিয়ে তিনি ফসলের মাঠে যাচ্ছিলেন। প্রায় একমাস পূর্বে বাড়ির পাশের পুকুরে হাঁস চরানোকে কেন্দ্র করে পূর্ব শত্রুতার জেরে একই গ্রামের আব্দুর রহিমের স্ত্রী শরিফা বেগম (৪৫) তার সঙ্গে বাক-বিতন্ডা শুরু করে তাকে মারধোর করেন। এক পর্যায়ে তার দুল ধরে টান দিয়ে ডান কান ছিঁড়ে নেন প্রতিপক্ষ শরিফা বেগম। পরে পরিবারের লোকজন আহত অবস্থায় স্বপ্নাকে উদ্ধার করে বাগাতিপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এ বিষয়ে তিনি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান।
অভিযুক্ত শরিফা বেগম জানান, মাস খানেক পূর্বে শরিফাদের নিজেদের পুকুরে হাঁস চরানোর কারনে স্বপ্নাদের জমির পাড় ভেঙ্গে যাওয়ার অভিযোগ তুললে বাকবিতন্ডায় উভয়ের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এরপর থেকে বিভিন্ন সময় শরিফার মেয়ে মেরিনার সাথে অশালীন আচরন করে স্বপ্না। এরপর প্রায়ই তার পরিবার নিয়ে বিভিন্ন খারাপ মন্তব্য করে। বুধবার স্বপ্না তাদের বাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় এসব নিয়ে বাকবিতন্ডা শুরু হলে এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। তবে তিনি কান কেটে দেননি এমন মন্তব্য করে বলেন, হাতাহাতির কোন পর্যায়ে কান কেটে যেতে পারে। এব্যাপারে বাগাতিপাড়া মডেল থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম শেখ পিপিএম বলেন, কোন লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি, পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।