দুর্গাপুর প্রতিনিধি: রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার পালশা গ্রামে উপজেলা পরিষদের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরকার দলীয় প্রার্থীর সমর্থকদের উপরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলার সময় দলীয় প্রার্থীর সমর্থকদের বাড়িঘরে ও মুদিদোকানে হামলা চালিয়ে লুটপাট চালানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুল মজিদের সমর্থকরা এ হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেন হামলায় হতাহতরা। ঘটনার পর দুর্গাপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তবে এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় থানায় কোন মামলা দায়ের করা হয়নি। হামলার ঘটনায় বৃদ্ধা নারীসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ৬ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। বাঁকীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
আহতরা হলেন, পালশা গ্রামের আলেফ মন্ডলের পুত্র আহাদ আলী (৫০), আব্দুল ঘোষের পুত্র সাহাদ আলী (৪০), হোসেন মীরের পুত্র জয়নাল আবেদীন (৪৫), ওয়াহেদ আলী (৩৫), মৃত তালেব মন্ডলের স্ত্রী অহেরজান বিবি (৬৫) ও সাহাদ আলীর স্ত্রী মর্জিনা খাতুন (৩৫)।
উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন জয়নাল আবেদীন জানান, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেয়া বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুল মজিদের পক্ষের কয়েকজন ব্যাক্তি রাত ৯টার দিকে পালশা গ্রামের খামার পাড়া এলাকায় দলীয় প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলামের পোস্টার ফেস্টুন ছিড়তে থাকে। এ সময় তাদের বাধা দেয়া হলে তারা উত্তেজিত হয়ে উঠে। এ সময় তাদের ধাক্কা দিয়ে এলাকা থেকে বিদায় করা হয়। রাত সাড়ে ৯ টার দিকে পালশা গ্রামের সৈয়দের মোড়ের কাছে বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুল মজিদের ৫০/৬০ জন সমর্থক সংঘবদ্ধ হয়ে জয়নাল আবেদীনের বাড়িঘরে হামলা চালান।
একই সময়ে তারা আইয়ুব আলী, কালাম, ওয়াহেদ, আহাদ আলীর বাড়িঘরে ও সাহাদ আলীর মুদিদোকানে হামলা চালিয়ে লুটপাট শুরু করেন। রাতের আঁধারে ঘরবাড়ির দরজা ভেঙ্গে লুটপাট চালায় বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুল মজিদের লোকজন। সাহাদ আলীর মুদিদোকান থেকেও নগদ টাকা পয়সা ও মালামাল লুটপাট করা হয়। এ সময় যাকেই সামনে পেয়েছে তাকেই লোহার রড ও বাঁশের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। হামলার রোষানল থেকে বৃদ্ধা নারীও বাদ যাননি। প্রায় ১ ঘন্টা ধরে চলে তাদের উপর নারকীয় এ বর্বর হামলা। হামলা থেকে বাঁচতে বাড়ির নারী ও শিশুরা রাতের আঁধারে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান।
দুর্গাপুর থানার ওসি আব্দুল মোতালেব জানান, পালশা গ্রামে হামলার খবর পাওয়ার পরপর ওই এলাকায় পুলিশ ফোর্স পাঠানো হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে আহতদের উদ্ধার করে দুর্গাপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তির ব্যবস্থা করেছে। আপাতত ওই এলাকার পরিবেশ শান্ত আছে। পুণরায় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশী টহল জোরদার করা হয়েছে।
ওসি আরো বলেন, এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় থানায় কোন মামলা দায়ের করা হয়নি। মামলা দায়ের করা হলে হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।