নাটোরে সাপের ছোবলে সাপুড়ের মৃত্যু

রাজশাহী লীড

নাটোর প্রতিনিধিঃ নাটোরের সবচেয়ে বড় ও অভিজ্ঞ সাপুড়ে রফিকুল ইসলাম (৫৬)। যার দিন-রাত কাটে সাপ নিয়ে। বাড়িতেই পালেন বিষধর সাপ। জীবিকা নির্বাহ করতেন সাপ খেলা দেখিয়ে। তবে সেই সাপের ছোবলেই মৃত্যু হলো তার।

রবিবার ১৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে রাজশাহী কোর্ট এলাকায় সাপ খেলা দেখাতে গিয়ে সাপে দংশন করে সাপুড়ে রফিকুলকে। এতেই তার মৃত্যু হয়।

মৃত রফিকুল সাপুড়ে নাটোরের পির গঞ্জ এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। তার বাবার নাম আহম্মদ আলী।

স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, রফিকুল সাপুড়ে বুঝতে পারে যে সাপের খেলা দেখানোর সময় তাকে সাপে ছোবল দিয়েছে এবং সেই সাপের বিষ দাঁত ভাঙ্গা আছে বলে সে জানত। কিন্তু সাপের সেই ভাঙ্গ দাঁত যে আবারও গজিয়েছে সেটা জানা ছিলনা তার।

খেলা দেখানোর শেষে বাড়িতে ফেরার পথে নাটোরের তোকিয়া ঢালান নামক স্থানে এলে সে বুঝতে পারে তার শরীরে সাপের বিষক্রিয়া শুরু হয়েছে এবং সে অসুস্থ হয়ে পরে।

সেসময় স্থানীয়রা সাপুড়িয়ার মুখ থেকে সব কথা শুনে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলে রাজশাহী জেলার পুঠিয়া নামক এলাকায় তার মৃত্যু হয়।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মোশাররফ হোসেন বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রফিকুল সাপুড়ে নিয়মিতভাবে বিভিন্ন এলাকায় সাপ খেলা দেখতে যান। সেই ধারা বাহিকতায় তিনি রবিবার রাজশাহী কোর্ট এলাকায় বিষধর সাপ নিয়ে খেলা দেখাতে গিয়ে সেই সাপ তাকে ছোবল দেয়।

সাপের ছোবল নিয়েই সে বাড়িতে ফেরার পথে অসুস্থ হয়ে পরলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মৃত্যু বরণ করেন।
ইউপি সদস্য আরও জানান, সাপুড়ে রফিকুল ইসলামের আদীবসত ছিল ঢাকার সাভার বেদে পল্লীতে।

তিনি প্রায় ৩৫/৪০ বছর অাগে নাটোর সদর উপজেলার পির গঞ্জ গ্রামে অাসেন। কর্মজীবনে পুরোটাই তিনি সাপ ধরে ও খেলা দেখিয়ে কাটিয়েছেন। রবিবার সাপ খেলা দেখাতে গিয়ে অসাবধানতাবশত সাপের ছোবলে তার মৃত্যু হয়।

স্থানীয় করবস্থানে আজ রবিবার রাতে সাড়ে নয়টার দিকে তার দাফন সম্পূর্ণ করা হয়েছে বলে পরিবার সূত্রে জানা যায়।

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *