ঘরে ঢুকে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন, গ্রেফতার আরও একজন

জাতীয় লীড

স্বদেশ বাণী ডেস্ক: নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় ঘরে ঢুকে এক গৃহবধূকে (৩৫) বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় মো. রহমত উল্যাহ (৪১) নামে আরও এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রোববার রাত ১১টায় একলাশপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় এর আগে একইদিন বিকেলে আব্দুর রহিম (২৭) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ওই গৃহবধূকে নির্যাতনের ঘটনার এক মাস পর রোববার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হয়। এ ঘটনায় দিবাগত রাত ১টার দিকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে ভুক্তভোগী বাদী হয়ে ৯ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন।

এর আগে ঘটনার পর ভয়ে বাড়িছাড়া নির্যাতিতা গৃহবধূকে সদর উপজেলার মাস্টার পাড়ার তার এক আত্মীয়ের বাসা থেকে উদ্ধার করে হেফাজতে নেয় পুলিশ।

গ্রেপ্তার আব্দুর রহিম একলাশপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের জয়কৃঞ্চপুর গ্রামের বাসিন্দা ও রহমত উল্যাহ একই এলাকার মোহর আলী মুন্সি বাড়ির মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে।

বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.হারুন উর রশীদ এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, পুলিশের ৫টি ইউনিট ৭ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের খালপাড় এলাকার নূর ইসলাম মিয়ার বাড়িতে গৃহবধূর বসতঘরে ঢুকে তার স্বামীকে পাশের কক্ষে বেঁধে রাখে স্থানীয় বাদল ও তার সহযোগীরা। এরপর গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা করে তারা। এসময় গৃহবধূ বাধা দিলে তারা বিবস্ত্র করে বেধড়ক মারধর করে মোবাইলে ভিডিও চিত্র ধারণ করে।

ওসি জানান, গ্রেপ্তার আসামিদের বিচারিক আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হবে। অভিযুক্ত অপর আসামিদের গ্রেপ্তারে জোর তৎপরতা চালাচ্ছে।

রোববার ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে দেখা যায়, বসতঘরে ঢুকে ওই নারীকে ৩-৪ জন যুবক বিবস্ত্র করে মারধর করছে। একজন ওই নারীর মুখে পা দিয়ে চেপে ধরে। বারবার আকুতি করার পরও নির্যাতন করা বন্ধ করেনি কেউ।

এক মিনিট ২৩ সেকেন্ডের ওই ভিডিও ফুটেজ দেখে অনেকেই অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

ভুক্তভোগী নারীর বাবা বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা প্রভাবশালী হওয়ায় ভয়ে তাদের বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস করেননি তারা। তিনি এর সুষ্ঠু বিচার চান।

নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন বলেন, গৃহবধূকে নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে এবং ভুক্তভোগীর পরিবারকে আইনি সহযোগিতা দিতে জেলা পুলিশের ৫টি ইউনিট মাঠে কাজ করছে। সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল।

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *