ধর্ষণবিরোধী লংমার্চ সমাবেশে হামলা, সাংবাদিকসহ আহত ২০

জাতীয় লীড

স্বদেশ বাণী ডেস্ক: ‘ধর্ষণ ও বিচারহীনতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’ এর নয় দফা দাবিতে ফেনীতে লংমার্চ এর সমাবেশে হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। হামলায় তিন সাংবাদিকসহ ১৫-২০ জন আহত হয়েছে। সমাজতন্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাসুদ রানা ঘটনার জন্য আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীদের দায়ী করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, শনিবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ১০টায় ফেনীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ শুরু হয়। সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের ফেনী জেলা সংগঠক সালমা আক্তার কলির সভাপতিত্বে ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ফেনী শহর শাখার সাধারণ সম্পাদক পংকজনাথ সূর্যের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্র ফেনী জেলার সংগঠক জোবেদা আক্তার কচি, উদীচী ফেনী সংসদের সহ-সভাপতি মৌসুমি সোম, কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাসুদ রানা, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন সভাপতি মেহেদি হাসান নোবেল, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা, বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্রের সভাপতি সীমা দত্ত, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন প্রিন্স প্রমুখ।

সমাবেশ চলাকালে লং মার্চকারীরা ট্রাংক রোডের দোয়েল চত্বরে জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর ছবি সংবলিত ফেস্টুনে ধর্ষণের প্রতীকী চিহ্ন ও ধর্ষণ বিরোধী শ্লোগান লিখেন। এছাড়া সমাবেশে সরকার বিরোধী ও পুলিশকে উদ্দেশ্য করে মুহুর্মুহু শ্লোগান দিলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সমাবেশ শেষে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের একলাশপুরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলে শহরের মিশন হাসপাতালের সামনে দুর্বৃত্তরা হামলা চালায়।

আদালতপাড়া সংলগ্ন নির্মাণ সুপার মার্কেটের সামনে পৌছলে দ্বিতীয় দফা হামলা চালানো হয়। এতে একাত্তর টিভির প্রতিনিধি জহিরুল হক মিলু, ক্যামেরাম্যান সাজু, হকার্স প্রতিনিধি ইয়াছিন আরাফাত রুবেল ছাড়াও লং মার্চে যুক্ত হতে আসা কর্মী আসমানী আশা, রিপা মজুমদার, হৃদয়, শাহাদাত, জাওয়াদ, আনিকাসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়।

ছাত্রফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাসুদ রানা অভিযোগ করেন, লং মার্চ সহ্য করতে না পেরে ট্রাংক রোডে সমাবেশ শেষে তারা হামলা চালিয়ে মারধর ও ৬টি গাড়ি ভাংচুর করে। এতে অন্তত ২শ নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলে তার দাবী।

সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শুসেন চন্দ্র শীল জানান, লং মার্চকারীরা বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর ছবিতে ‘ধর্ষকদের পাহারাদার’ লেখায় সাধারণ মানুষ প্রতিহত করেছে। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড আইন করলেও একটি চক্র শান্তিপূর্ণ পরিবেশ অস্থিশীল করতে পাঁয়তারা করেছে। সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল।

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *