বঙ্গোপসাগরে নিজস্ব সীমার সংশোধিত তথ্য জাতিসংঘকে দিল বাংলাদেশ

আন্তর্জাতিক জাতীয় লীড

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বঙ্গোপসাগরের বর্ধিত মহীসোপানে নিজেদের সীমা সংক্রান্ত সংশোধিত তথ্যাদি জাতিসংঘে দিয়েছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের সমুদ্র আইন ও সমুদ্রবিষয়ক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক দিমিত্রি গংচারের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে এই তথ্যাদি হস্তান্তর করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।

এ সময় রাষ্ট্রদূত ফাতিমা জাতিসংঘে দাখিল করা সংশোধনীটি যেন ‘জাতিসংঘের মহীসোপন সীমাবিষয়ক কমিশনের’ পরবর্তী অধিবেশনে এজেন্ডা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয় সে বিষয়ে বাংলাদেশের প্রত্যাশার কথা তুলে ধরেন বলে শুক্রবার জানিয়েছে বাংলাদেশ মিশন।

মহীসোপানের সীমা নির্ধারণ চূড়ান্ত হলে বাংলাদেশ তার সীমানার সমুদ্র সম্পদ ও সমুদ্র তলদেশের খনিজ সম্পদ উন্মোচন ও ব্যবহারের সুযোগ পাবে বলেও উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা।

এর আগে ২০১১ সালের ২৫ ফেব্রæয়ারি জাতিসংঘের মহীসোপান সীমাবিষয়ক কমিশনে বঙ্গোপসারের মহীসোপান সীমা সংক্রান্ত মূল তথ্যাদি দাখিল করেছিল বাংলাদেশ।

পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নির্ধারণবিষয়ক আন্তর্জাতিক মামলায় যথাক্রমে ২০১২ এবং ২০১৪ সালে প্রদত্ত ঐতিহাসিক রায়ে বাংলাদেশ জয়লাভ করে। ফলে বঙ্গোপসাগরে প্রতিবেশী রাষ্ট্র মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা নির্ধারণ চূড়ান্ত হয়।

আন্তর্জাতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অর্জিত এ সাফল্যের বাস্তবায়নার্থেই বঙ্গোপসাগরে মহীসোপন সীমা সংক্রান্ত তথ্যাদি সংশোধন করা হল।

নিমানুযায়ী, জাতিসংঘের মহীসোপান সীমাবিষয়ক কমিশন বাংলাদেশের দাখিলকৃত এসব তথ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য একটি উপকমিটি গঠন করবে এবং পরবর্তী সময়ে সন্তুষ্টি সাপেক্ষে বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের মহীসোপান সীমা নির্ধারণে চূড়ান্ত সুপারিশ প্রদান করবে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সমুদ্রবিষয়ক বিভাগের তত্ত¡াবধায়নে দেশি ও বিদেশি বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত একটি শক্তিশালী দল মহীসোপান সীমা সংশোধনীবিষয়ক এ দলিল প্রস্তুত করেছে।

স্ব.বা/বা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *