এবারই প্রথম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ইতিহাস গড়লো আওয়ামীলীগ

রাজশাহী লীড

বাঘা প্রতিনিধি:
দলবিহীন ৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রাজশাহীর বাঘায় এক নতুন ইতিহাস গড়লো আওয়ামীলীগ। ১০ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে রাজনৈতিক বড় দল বিএনপিসহ বিরোধী অন্য দলের প্রার্থী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন, রাজশাহী জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক এ্যাডভোকেট লায়েব উদ্দীন লাভলু। চেয়ারম্যান পদে এবারই প্রথম দলীয় প্রতীকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

জানা গেছে,২০১৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ৪র্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে একক প্রার্থী দিয়েও জামায়াত নেতার কাছে পরাজিত হয়েছে আ’লীগ। ২০০৯ সালের ২২ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিএনপির প্রার্থীর কাছে পরাজিত হয়েছিলেন লাভলুসহ দলের আরেক নেতা প্রয়াত মিজানুর রহমান মিনু। এর আগে দ্বিতীয় নির্বাচনে বিএনপির বয়েজুল ইসলাম খান ও সব্য প্রথম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টিও আব্দুল আজিজ সরকার নির্বাচিত হন।

গত রোববার (১০ মার্চ) ৫ম উপজেলা পরিষদ অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে ভোটারদের প্রত্যক্ষ ভোটে, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে তেইশ হাজার ৯৮৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুল মোকাদ্দেস (টিয়া প্রতীক)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা সৈনিকলীগের সভাপতি, আনোয়ার হোসেন মিলটন (প্রতীক চশমা) পেয়েছেন তেরো হাজার ৯৬৯ ভোট। নারি ভাইস চেয়ারম্যান পদে তেইশ হাজার ৭০৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও সাবেক নারি কাউন্সিলর, রিজিয়া আজিজ সরকার (ফুটবল)। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী উপজেলা মহিলালীগের সভানেত্রী ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা খাতুন লতা (প্রতীক কলস) পেয়েছেন চৌদ্দ হাজার ১৯৫ ভোট।

২টি পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত রাজশাহীর বাঘা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে, মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৪৪ হাজার ৫৭৩ জন। এর মধ্যে ৭২ হাজার ৫৯০ জন পুরুষ এবং ৭১ হাজার ৯৮৩ জন নারী ভোটার। ৫৯টি ভোট কেন্দ্রের ৪২০টি বুথে ভোট গ্রহন করা হয় । সর্বমোট প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা ৩৯ হাজার ৭৪টি। বিএনপিসহ বিরোধী অন্যদল নির্বাচন বর্জন করায় রোববারের ভোট ছিল অনেকটাই নিরুত্তাপ। কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা,নির্বাচনী কর্মকর্তাদেও সরব উপস্থিতি ও ভোটের সব প্রস্তুতি থাকলেও উপজেলায় ভোটার উপস্থিতি ছিল একবারেই কম। অনেকেই বলেছেন গত ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটারদেও যে অনুপস্থিতি ছিল তার ছায়াই পড়েছে গত রোববার অনুষ্ঠিতব্য উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে। তবে রাতে ভোট কাটার মতো মতো কোন ঘটনা ঘটেনি। অবাধ,সুষ্ঠ নির্বাচন হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *