স্বদেশ বাণী ডেক্স:
আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টির কৌশল তুলে ধরে এরশাদ বলেন, আমরা জোটগতভাবে ৩০০ আসনে প্রার্থী দিতে প্রস্তুত। আশা করি, ৩০০ আসনে প্রার্থী দিয়েই নির্বাচন করব। তবে নতুন মেরুকরণ হতে পারে।
তিনি বলেন, পোস্টার ও ব্যানার দেখে কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হবে না। যোগ্য প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া হবে। শিগগিরই পার্লামেন্ট বোর্ড গঠন করা হবে। যোগ্য প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া হবে। এসময় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এখন থেকেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নাও। আমরা শিগগিরই নির্বাচনী যাত্রা শুরু করব।
এর আগে এরশাদ বলেন, ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার পর আমি নির্যাতনের শিকার হয়েছি। এখনও নির্যাতনের শিকার হচ্ছি। সবসময় শঙ্কায় থাকি, কখন জেলে যাব।
তবে এই শঙ্কা সত্ত্বেও দেশের মানুষের জন্য কাজ করার প্রত্যয় জানিয়ে সাবেক এই রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশের জনগণ পরিবর্তন চায়। আগামী নির্বাচন আমার জীবনের শেষ নির্বাচন। এই সময়ে দেশের মানুষের পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতেই আমার জীবন উৎসর্গ করতে চাই দেশ ও জাতির জন্য।
এরশাদ আরও বলেন, দেশের মানুষ খাদ্যের নিরাপত্তা চায়, শিক্ষাব্যবস্থার পরিবর্তন চায়, সড়কের নিরাপত্তা চায়। বাচ্চারা বলেছে, রাষ্ট্রের মেরামত করতে, আমরাও রাষ্ট্রের মেরামত চাই।
তিনি বলেন, আমরা নির্বাচন পদ্ধতি পরিবর্তন করতে চাই। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা চাই। সন্ত্রাস দমনে কঠিন পদক্ষেপ নিতে চাই।
সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুরুতেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন। কিন্তু স্বাধীনতার ফসল জনগণের কাছে পৌঁছে দিয়েছে জাতীয় পার্টি। আমাদের জাতীয় পার্টির শাসনামলে দেশের যে পরিমাণ সংস্কার ও উন্নয়ন হয়েছে, তা আর কোনো সরকারের আমলে হয়নি।
রওশন এরশাদ বলেন, দেশের জনগণের কর্মসংস্থান নেই, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নেই। কিন্তু জাতীয় পার্টির শাসনামলে দেশে শান্তি ছিল, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা ছিল। এবার আমাদের ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য যা যা করা দরকার, তা করতে হবে। কারণ জনগণ জাতীয় পার্টির দিকে তাকিয়ে আছে।
নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় জানিয়ে রওশন বলেন, জাতীয় পার্টি দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করতে রাজনীতি করে। নতুন বাংলাদেশ গড়ব মোরা, নতুন করে শপথ নিলাম।