হুমায়ূন মেলায় সম্মাননা পেলেন নারীনেত্রী শাহীন আকতার রেনী

রাজশাহী লীড

স্টাফ রিপোর্টার: কিংবদন্তি কথাসাহিত্যিক ও নির্মাণের মহান কারিগর হুমায়ূন আহমেদের ৭২তম জন্মবার্ষিকী শুক্রবার (১৩ নভেম্বর)। আর এই বিশেষ দিনকে ঘিরে বরাবরই দিনব্যাপী হুমায়ূন মেলার আয়োজন করে চ্যানেল আই। করোনার কারণে বিস্তৃত পরিসরে হুমায়ূন মেলা না হলেও ভার্চুয়াল আড্ডা আয়োজনে ‘ঐক্য.কম.বিডি চ্যানেল আই হুমায়ূন মেলা ২০২০’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উদ্যোক্তাদের অগ্রযাত্রায় বিশেষ অবদান রাখায় মেলায় সম্মাননা পেয়েছেন ঐক্য ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট বিশিষ্ট সমাজসেবী শাহীন আকতার রেনী। কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন ও ইমপ্রেস টেলিফিল্ম লি. চ্যানেল আইয়ের পরিচালনা পর্ষদ সদস্য এবং প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু নারীনেত্রী শাহীন আকতার রেনীর হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন।

অপু মাহফুজের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রকাশক মাজহারুল ইসলাম ও রেজানুর রহমান প্রমুখ। ‘ঐক্য.কম.বিডি চ্যানেল আই হুমায়ূন মেলা ২০২০’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন তার বক্তব্যে হুমায়ূন আহমেদকে পাঠের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কথা বলেন।
হুমায়ূনের জন্য সকলের গৌরব বোধ করা উচিত জানিয়ে দেশের জনপ্রিয় এই লেখক বলেন, ‘বিপুল পাঠক তৈরীর কাজটি হুমায়ূন করেছেন, যা বাংলা সাহিত্যে আর কেউ করতে পারেননি। আমরা এক সময় শরৎচন্দ্রের কথা বলতাম যে, তিনি বাংলা ভাষার সবচাইতে জনপ্রিয় লেখক। কিন্তু সেই শরৎচন্দ্রকেও আমরা একটা সময় দেখেছি, হুমায়ূন আহমেদের জনপ্রিয়তার কাছে ¤øান হয়ে যেতে। আমাদের গৌরবটা এই জায়গায়, আমরা তাকে নিয়ে গৌরব বোধ করি।’

হুমায়ূন সৃষ্ট জনপ্রিয় বইগুলো ছাড়াও কম আলোচিত বই পাঠেরও অনুরোধ জানান ইমদাদুল হক মিলন। তিনি বলেন, ‘হুমায়ূনের তিনটি চরিত্র মানুষের মনে গেঁথে আছে। বিশেষত তরুণদের মনে। তিনটি চরিত্র হল, মিসির আলী, হিমু ও রূপা। কিন্তু আমি বলবো, হুমায়ূনকে তিনটি চরিত্র দিয়ে বিচার করলে হবে না। বরং এই তিনটি চরিত্রের কথা বললে হুমায়ূন আহমেদের মহত্তে¡র অনেকখানি উদ্ভাসিত হয় না। তার মধ্যাহ্ন , নন্দিত নরকে, শঙ্খনীল কারাগার, ফেরা বা মাতাল হাওয়ার মতো অনেকগুলো উপন্যাস বা গল্পগুলোর কথা আমি বলতে পারি- আমি সবার কাছে অনুরোধ করবো, যারা শুধু মিসির আলী, হিমু আর রূপাকে জানেন তারা দয়া করে হুমায়ূন আহমেদের অন্য লেখাগুলোও গভীর মনযোগ দিয়ে পড়ুন।’

অনুষ্ঠানে সমাজসেবী ও নারীনেত্রী শাহীন আকতার রেনী বলেন, নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ শারীরিকভাবে আমাদের উপস্থিত নাই, কিন্তু আমরা জানি উনি সবার অন্তরে আছেন। বিশেষ করে পুরো বাঙালি জাতির অন্তরে তিনি জায়গা করে নিয়েছেন এবং বিশ^ব্যাপী তাকে এক নামে সকলে চিনেন। আজকে এই মেলায় আমি শ্রদ্ধা জানাই হুমায়ূন আহমেদের প্রতি এবং সমবেদনা জানাই তাঁর পরিবারের প্রতি।

তিনি আরো বলেন, একজন হুমায়ূন চলে গেছেন, কিন্তু অনেকগুলো হুমায়ূন রেখে গেছেন তিনি। প্রতিটি বই বেলায় তরুণ প্রজন্ম হুমায়ূন আহমেদের বই কিনতে ভিড় জমায়। এটি হুমায়ূন আহমেদের বড় একটি পাওয়া।

প্রায় দুই ঘন্টাব্যাপী এই অনুষ্ঠানের পরবর্তী অংশে হুমায়ূন স্মরণে আবৃত্তি ও গান পরিবেশন করেন আমন্ত্রিত অতিথি শিল্পীরা।

স্ব.বা/বা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *