স্টাফ রিপোর্টার: অবশেষে রাজশাহীবাসীর দীর্ঘ দিনের প্রাণের দাবি পূরণ হতে যাচ্ছে। রাজশাহী-ঢাকা রুটে চালু হতে যাচ্ছে বিরতিহীন আন্তঃনগর ট্রেন। আগামী ১৪ এপ্রিল অর্থাৎ বাংলা নববর্ষের দিন থেকেই উপহার হিসেবে নতুন এই পরিষেবা চালু করতে যাচ্ছে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
রাজশাহী-ঢাকা রুটের এই বিরতিহীন ট্রেনের জন্য সংসদে একাধিকবার দাবি জানিয়েছেন রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা। বিভিন্ন সময় ট্রেনটি চালু করতে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। এই ট্রেনের জন্য আন্দোলন সংগ্রামও করেছে সামাজিক সংগঠন রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদ।
আগামী ৭ এপ্রিল এই ট্রেনসহ আরও বেশকিছু দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি ছিল রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের। তবে সোমবার বিকালে এই ট্রেন চালু হতে যাওয়ার সুসংবাদটি দিয়েছেন সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। তিনি জানিয়েছেন, এরই মধ্যে রাজশাহী-ঢাকা বিরতিহীন আন্তঃনগর ট্রেনের অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে এর অনুমোদন দেওয়া হয়।
ট্রেনটি চালু হতে যাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা এবং সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। বাদশা বলেছেন, রাজশাহীবাসীর এ দাবি পূরণ করে প্রধানমন্ত্রী রাজশাহীর মানুষকে সম্মানিত করেছেন। আমি রাজশাহীবাসীর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাই।
মেয়র লিটন জানান, সপ্তাহে একদিন বাদে বাকি সবদিন বিরতিহীন ট্রেনটি সকালে রাজশাহী থেকে ঢাকায় যাবে। আবার সেদিনই পুনরায় ঢাকা থেকে রাজশাহী ফিরবে। আগামী পহেলা বৈশাখ থেকেই ট্রেনটি চালু হওয়ার কথা রয়েছে। ট্রেনটিতে মালয়েশিয়া থেকে আনা উন্নতমানের নতুন কোচ থাকবে। এর সময়সূচি চূড়ান্ত হলে পরে জানানো হবে বলেও উল্লেখ করেন মেয়র।
বিরতিহীন ট্রেন দেয়ায় রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি মো. লিয়াকত আলী এবং সাধারণ সম্পাদক জামাত খানও প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। মো. লিয়াকত আলী বলেন, রাজশাহী-ঢাকা রুটে বিরতিহীন ট্রেনের জন্য আমরা দীর্ঘ দিন ধরেই আন্দোলন করছি। আগামী ৭ তারিখেও এটিসহ আরও বেশকিছু দাবিতে আমাদের মানববন্ধন কর্মসূচি রয়েছে। এর আগেই ট্রেনটি চালুর অনুমোদনের বিষয়টি ভালো লাগছে। আমরা আশা করি, রাজশাহীর সঙ্গে দেশের অন্য সব বিভাগে সরাসরি রেলযোগাযোগ স্থাপনে সরকার মনোযোগী হবে।