বাঘা প্রতিনিধি
রাজশাহীর বাঘায় ভিজিডির কার্ড না পাওয়ার ঘটনায় এলাকায় প্রতিবাদ সভা ডেকে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অশালীন বক্তিতা করায় জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেরাজুল ইসলাম মেরাজ এর বিরুদ্দে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বিকেলে স্থানীয় বাঘা প্রেসক্লাব কার্যালয়ে পাকুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফকরুল হাসান বাবলু এবং ইউপি সদস্যরা এই সংবাদ সম্মেলন করেন।
আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়েছে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেরাজুল ইসলাম মেরাজ সম্প্রতি পাকুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নিকট ২২টি ভিজিডি কার্ড দাবি করেন। এ কার্ড নিয়ম অনুযায়ী না দেয়ায় তিনি ২ মার্চ কিশোরপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে চেয়ারম্যান মেম্বরদের বিরুদ্ধে সমাবেশ ডাকেন। এই সমাবেশে তিনি চেয়ারম্যান বাবলু ও মেম্বরদের হাত পা ভেঙ্গে দেয়ার হুমকিসহ অশালীন বক্তব্য প্রদান করেন। একই সাথে ইউপি সদস্যদেরকেও দেখে নেয়া হবে বলে ওই সমাবেশে হুমকি দেন।
সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যান ফকরুল হাসান বাবলু লিখিত বক্তব্যে বলেন, সরকারি যত অনুদান রয়েছে, তার মধ্যে এ বছর অনলাইনে আবেদনের ভিক্তিতে ভিজিডি কার্ড ধারীদের নামের তালিকা প্রথম চুড়ান্ত করা হয়েছে। এরমধ্যে আবদেন হয়েছে ১ হাজার ১৯২টি। কিন্তু বরাদ্দ পাওয়া গেছে ৩০৬টি। যা আলোচনার মাধ্যমে চুড়ান্ত করা হয়েছে। এরমধ্যে সরকার দলীয় নেতাদের দেয়া তালিকা ধরে অধিকাংশ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এখানে কারচুপির কোন সুযোগ নেই।
সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যান আরো বলেন, মেরাজুল ইসলাম মেরাজ রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে গত ১৫ বছর যাবত বালু মহল ও খেয়াঘাটের ব্যবসা রেখেছে তার নিয়ন্ত্রনে। এখান থেকে সে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ বনেছেন। অভিযোগ রয়েছে নদীতে জাল নামাতে হলেও মেরাজ ও তার সহযোগিদের উৎকচ দিতে হয়। একইভাবে উৎকচ গুনতে হয় করিডোরের মাধ্যমে ভারত থেকে আনা গরু ব্যবসায়ীদের।
উক্ত সংবাদ সম্মেলনে ইউপি সদস্যরা অভিযোগ করে বলেন, মেরাজ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার সুবাদে তিনি ও তার ভাই মিজান গত ১০ বছরে এলাকায় রাস্তা-ঘাট, কালভাট-ব্রিজ ও ধমীয় প্রতিষ্টানের নামে অসংখ্য টিআর কাবিখার টাকা আতœসাৎ করেন। আর এসব অপকর্মের প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে হাতুড়ি পেটা খেয়ে আদালতে মামলা করেছেন কিশোরপুর গ্রামের প্রতিবাদী শামিম আহম্মেদ নামের এক যুবলীগ কর্মী।
সম্মেলনে ভিজিডি কার্ড না পাওয়ায় মেরাজ প্রতিনিয়ন ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও মেম্বরদের প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে বলে উল্লেখ করেন এবং বুধবার (৩ মার্চ) বাঘা থানায় তার বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডাইরি (জিডি) করেন চেয়ারম্যান ফকরুল হাসান বাবলু। যার সত্যতা স্বীকার করেন ওসি মহসীন আলী।
আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্য মোজাম্মেল হক ভাদু, আবদুর রউফ, আবদুল আজিজ, ছিয়ার উদ্দীন, স্থানীয় নুরুল ইসলাম রফিকুল ইসলাম, জিল্লুর রহমান, সুজন আলী, মঞ্জিল হোসেন, আবদুল হালিম, আনোয়ার হোসেন, ছানোয়ার হোসেন, নাজমুল হোসেন, সাইফুল ইসলাম, সিদ্দিক, বরকত আলী, আবদুল খালেক, আবদুল কুদ্দুস প্রমুখ।