স্টাফ রিপোর্টারঃ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনেই এ বছরের নার্সিং ও মেডিকেল টেকনোলজি কোর্স পরিচালনার দাবিজানিয়েছে মেডিকেল টেকনোলজি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ বিবেচনায় এ দাবি জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন বোর্ড অ্যাফিলিয়েটেড সোসাইটি ফর মেডিকেল টেকনোলজি ইন্সটিটিশনস্ (বামি)। এর অংশ হিসেবে রাজশাহীতে সংগঠনটির নেতারা জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন ।
জানা গেছে, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড পরিচালতির স্বাস্থ প্রযুক্তি ও সেবা শিক্ষাক্রমের অধীন ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ৮টি বিষয়ে ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল ও নার্সিং টেকনোলজি কোর্স পরিচালিত হচ্ছে। ৪৫০টি মেডিকেল টেকনোলজি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২৫ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। বোর্ড থেকে একই শিক্ষাক্রমে পাস করা টেকনোলজিস্টরা বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত আছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে ৪ নভেম্বর একটি গেজেটে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের আইন-২০১৮-এর তফসিল-১-এর ক্রমিক নং-১-এর দফা ‘ঞ’ এবং ক্রমিক নং-৪-এর দফা ক, ঘ বিলুপ্ত করা হয়। এছাড়া বোর্ড আইনে ২০১৮-এর ধারা-২৬-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে উল্লিখিত দফা সংশোধন করা হয়েছে। ফলে কারিগরি বোর্ডের অধীনে পরিচালিত মেডিকেল টেকনোলজি ও নার্সিং কোর্স বন্ধ হয়ে গেল। গত ১৫ বছর ধরে কারিগরি বোর্ডের অধীনে পরিচালিত এ কোর্স দুটি পরিচালিত হচ্ছিল।
এসব কোর্সে ২৫ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত, আরও ১২ হাজার ভর্তি হতে চাচ্ছে। এছাড়া ৪৫০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক কর্মকর্তারা চাকরি নিয়ে অনিশ্চয়তায় আছেন। মেডিকেল টেকনোলজি প্রতিষ্ঠানগুলোর সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ বিবেচনায় কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনেই এ কোর্সগুলো পরিচালনা করা হোক।
এ বিষয়ে বামির রাজশাহী জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও বিএন ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল টেকনোলজির পরিচালক গুলজার হোসেন বাচ্চু বলেন, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধিনে সারাদেশের ৪৫০টি ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল ও নার্সিং টেকনোলজি প্রতিষ্ঠানে এ ডিপ্লোমা কোর্সে পড়াশুনা করছে। ইতিমধ্যে নতুন অনেক শিক্ষার্থী কারিগরি বোর্ডে রেজিস্ট্রেশন করেছে। তাই ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল ও নার্সিং টেকনোলজি কোর্স কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরিচালনা করার দাবি জানাচ্ছি। একই সাথে পরবর্তী বছর থেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে মেডিকেল টেকনোলজি শিক্ষা বোর্ড গঠন করে সে বোর্ডের অধীনে কোর্সগুলো পরিচালনার দাবি জানাচ্ছি। এ দাবিতে বিভিন্ন জেলা প্রশাসকদের মধ্যেমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি।
স্ব.বা/বা