সোহেল রানা-সুচন্দা পেলেন আজীবন সম্মাননা

বিনোদন

স্বদেশবাণী ডেস্ক: দেশের ৪৪তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০১৯ তুলে দেয়া হয়েছে বিজয়ীদের হাতে। এ বছর ২৬টি ক্যাটাগরিতে ৩৩ জন শিল্পী-কলাকুশলীকে দেয়া হয়েছে মূল্যবান এই সম্মাননা।

এছাড়া আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন প্রবীণ অভিনেতা মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা ও অভিনেত্রী কোহিনুর আক্তার সুচন্দা সুচন্দা।

আজ রোববার সকাল পৌনে ১২টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে এ পুরস্কার তুলে দেয়া হয়। এ সময় গণভবন থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অনুষ্ঠানের সভাপতি তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় চলচ্চিত্র নির্মাণের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সিনেমা বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম। এ শিল্প যাতে উন্নত হয়, দেশ ছাড়িয়ে বাহিরে যায় সে লক্ষ্যে পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার।’

দেশের চলচ্চিত্র অঙ্গনের একমাত্র রাষ্ট্রীয় ও সর্বোচ্চ পুরস্কার প্রদানের এ আয়োজনে বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দেন তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান এবং তথ্য মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। তথ্যসচিব খাজা মিয়া স্বাগত বক্তব্য রাখেন। এতে আরও যোগ দেন চলচ্চিত্র ও সংস্কৃতি অঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

২০১৯ সালে নির্মিত চলচ্চিত্রগুলোর মধ্য থেকে ২৬টি ক্যাটাগরিতে ৬টি যুগ্মসহ মোট ৩৩ জনকে জাতীয় পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত করেছে জুরি বোর্ড। এর সাথে চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদানের জন্য এবছর আজীবন সম্মাননা পান সোহেল রানা ও সুচন্দা।

গত বছরের ৩ ডিসেম্বর তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৯ প্রজ্ঞাপন জারি হয়। শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র (যুগ্ম): ন ডরাই ও ফাগুন হাওয়ায়। শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র: নারী জীবন, শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্র: যা ছিলো অন্ধকারে, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালক: তানিম রহমান অংশু (ন ডরাই), শ্রেষ্ঠ অভিনেতা প্রধান চরিত্রে: তারিক আনাম খান (আবার বসন্ত), শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী ধান চরিত্রে: প্রসুনেরাহ বিনতে কামাল (ন ডরাই)।

এছাড়াও শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পার্শ্ব চরিত্রে: এম ফজলুর রহমান বাবু (ফাগুন হাওয়ায়), শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী পার্শ্ব চরিত্রে: নারগিস আক্তার (হোসনে আরা) (মায়া দ্য লস্ট মাদার), শ্রেষ্ঠ অভিনেতা/অভিনেত্রী খল চরিত্রে: জাহিদ হাসান (সাপলুডু), শ্রেষ্ঠ শিশু শিল্পী (যুগ্ম) নাইমুর রহমান আপন (কালো মেঘের ভেলা) ও আফরীন আক্তার (যদি একদিন), শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক: মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী ইমন (মায়া দ্য লস্ট মাদার), শ্রেষ্ঠ নৃত্য পরিচালক: হাবিবুর রহমান (মনের মতো মানুষ পাইলাম না), শ্রেষ্ঠ গায়ক: মৃনাল কান্তি দাস (তুমি চাইয়া দেখো…) (শাটল ট্রেন), শ্রেষ্ঠ গায়িকা (যুগ্ম): মমতাজ বেগম (বাড়ির ওই পূর্বধারে…) (মায়া দ্য লস্ট মাদার) ও ফাতিমা-তুয-যাহরা ঐশী (মায়া, মায়া রে…) (মায়া দ্য লস্ট মাদার)।

শ্রেষ্ঠ গীতিকার (যুগ্ম): নির্মলেন্দু গুণ (ইস্টিশনে জন্ম আমার…) (কালো মেঘের ভেলা) ও ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী (কবি কামাল চৌধুরী) (চল হে বন্ধু চল…) (মায়া দ্য লস্ট মাদার)। শ্রেষ্ঠ সুরকার (যুগ্ম): প্লাবন কোরেশী (আব্দুল কাদির) (বাড়ির ওই পূর্বধারে…) ও সৈয়দ মো. তানভীর তারেক (আমার মায়ের আঁচল…) (মায়া দ্য লস্ট মাদার)। শ্রেষ্ঠ কাহিনিকার: মাসুদ পথিক (মাসুদ রানা) (মায়া দ্য লস্ট মাদার),শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার: মাহবুব উর রহমান (ন ডরাই),শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা: জাকির হোসেন রাজু (মনের মতো মানুষ পাইলাম না) এবং শ্রেষ্ঠ সম্পাদক: জুনায়েদ আহমদ হালিম (মায়া দ্য লস্ট মাদার)।

১৯৭৬ সালের ৪ এপ্রিল প্রথম চলচ্চিত্র পুরস্কার দেয়া হয়। ২০০৯ সালে প্রথম চালু করা হয় আজীবন সম্মাননা পুরস্কার।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *