বাগাতিপাড়া প্রতিনিধি:
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় রাতে প্রতিবেশীর বাড়িতে সোহান আলী (২২) নামের এক যুবকের জিহ্বা কর্তনের ঘটনা ঘটেছে। রোববার রাতে উপজেলার হাঁপানিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই বাড়ির মালিক ও তার স্ত্রীকে দায়ী করেছেন যুবকের পরিবার। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে বাড়ির মালিকের স্ত্রী। পুলিশ জানিয়েছে, পরকিয়ার কারনে এ ঘটনা ঘটতে পারে। এ ঘটনায় বাড়ির মালিককে আটক করেছে পুলিশ। জিহ্বা হারানো আহত যুবক সোহান আলী উপজেলার জামনগরের হাঁপানিয়া গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে।
শহিদুল ইসলাম জানান, রোববার রাতে তার ছেলে সোহানকে প্রতিবেশী ফজলুর রহমান ও তার স্ত্রী হাঁসি বেগম কৌশলে তাদের বাড়িতে ডেকে নেয়। এরপর তারা তাদের বাড়িতেই সোহানের জিহ্বা কেটে নেয়। আহতবস্থায় তার ছেলে পালিয়ে এলে দ্রুত তাকে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন আছে সোহান। রিপোর্ট লেখা (বিকাল ৫টা) পর্যন্ত তিনি এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান। জিহ্বা কাটার কারনে সোহান সাংবাদিকদের কাছে কোন কথা বলতে পারেননি।
এদিকে বাড়ির মালিক ফজলুর রহমানের স্ত্রী হাসি বেগম (৩০) জানান, সন্ধ্যার কিছু সময় পর তিনি তার বাড়ির উঠানের টিউবয়েলপাড়ে কাপড় ধোয়ার কাজ করছিলেন। সেসময় সোহান হঠাৎ টিনের বেড়া টপকে বাড়ির ভেতরে ঢুকতে গিয়ে টিউবয়েলের পাশে এসে পড়ে। এঘটনায় ভয় পেয়ে তিনি দৌঁড়ে ঘরে গিয়ে দরজা আটকিয়ে চিৎকার চেঁচামেচি করতে থাকেন। তার শোর চিৎকারে লোকজন আসলে সোহান পালিয়ে যায়। সেসময় লোকজন এসে টিউবয়েলের মেঝেতে সোহানের জিহ্বার কাটা অংশ পড়ে থাকতে দেখেন। টিনের বেড়া টপকাতে গিয়ে টিউবয়েলের পাকা মেঝেতে পড়ে দাঁতের চাপে তার জিহ্বা কেটেছে বলে তিনি ধারণা করেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে জিহ্বার কাটা অংশ থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় তার স্বামী ফজলুর রহমানকে রোববার রাত থেকে পুলিশ আটকে রেখেছে বলে তিনি জানান।
এব্যাপারে বাগাতিপাড়া মডেল থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম শেখ পিপিএম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে জিহ্বার কাটা অংশ উদ্ধার করেছে। পরকিয়ার কারনে ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে তিনি ধারনা করেন। তবে বাড়ির মালিক ফজলুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
