ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) কোনো ত্রুটি প্রমাণ করতে পারলে যন্ত্রটি প্রত্যাহার করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, বৃক্ষসম্পদ রক্ষা ও কাগজের ব্যবহার কমাতে ইভিএম ব্যবহারের এই উদ্যোগ। এর মধ্য দিয়ে ভোট ডাকাতি, ছিনতাই পুরোপুরি ঠেকানো সম্ভব হবে।
শনিবার দুপুরে রাজশাহীতে ইভিএম প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। ইসি বলেন, দেশের বাস্তবতা তাদের যান্ত্রিক দিকে এগিয়ে যেতে বাধ্য করেছে। ইভিএম ব্যবহারে ভোটের ফল যেমন দ্রুত ঘোষণা করা যাবে তেমনি এই মেশিন ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তাদের স্বাচ্ছন্দ এনে দেবে। একজনের ভোট অন্যজন দেয়ার কোনো সুযোগ পাবে না।
রফিকুল ইসলাম বলেন, রাজনৈতিক দল, প্রার্থী এবং ভোটারদের কথা চিন্তা করে ইভিএমের ব্যবহার করা হবে। কিন্তু আপনারা যদি এটাকে গ্রহণযোগ্য না বলেন তাহলে ব্যবহার করা হবে না। আপনারা পরীক্ষা করে দেখুন, ইভিএমের সঙ্গে ইন্টারনেট সংযুক্ত না। তাই এটি হ্যাক করা যাবে না। আগে থেকে ভোট দিয়ে রাখার কোনো সুযোগ নেই। আপনারা কোনো ত্রুটি প্রমাণ করতে পারলে এটি প্রত্যাহার করা হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার আমিনুল ইসলাম, পুলিশের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক নিশারুল আরিফ ও রাজশাহী মহানগর পুলিশের কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার। স্বাগত বক্তব্য দেন আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা সৈয়দ আমিরুল ইসলাম। আর সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আলমগীর কবির।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে অতিথিরা ইভিএম প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন। রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের চত্বরে আয়োজিত এই প্রদর্শনীতে ৬টি বুথে ইভিএম মেশিনে ডেমো ভাট গ্রহণের ব্যবস্থা করা হয়। সেখানে সাধারণ মানুষ ও জনপ্রতিনিধিরা তাদের স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র ইভিএম মেশিনে ঢুকিয়ে এবং আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে ভোট দেয়ার পদ্ধতি শেখেন।