স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের আয়োজনে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ ও মোকাবেলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার বিকেলে নগর ভবনের সরিৎ দত্ত গুপ্ত সভাকক্ষে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন।
সভায় রাসিক মেয়র বলেন, করোনার সংক্রমন নিয়ন্ত্রণ ও মোকাবেলায় সরকার সতর্ক অব¯’ানে আছে। ইতোমধ্যে এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। লকডাউনে সরকারের পক্ষ থেকে যে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে, সেটি কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।
মেয়র আরো বলেন, করোনার প্রথম ঢেউ‘য়ে করোনার ক্ষতিগ্র¯’ গরীব, অসহায় বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষকে দফায় দফায় খাদ্য, নগদ অর্থ সহ বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করা হয়েছে, প্রয়োজনে আবারো সেটি করা হবে। এবার চিকিৎসা ব্যব¯’ার কিছুটা সংকট আছে, সেটি পূরণে আমাদের কাজ করতে হবে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা রোগীর জন্য হাইফ্লো অক্সিজেনের সংখ্যা বাড়াতে হবে, হাসপাতালের বেড সংখ্যা বাড়াতে হবে। হাসপাতালের পিসিআর ল্যাব চালুর প্রয়োজনীয় ব্যব¯’া গ্রহণ করা হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে করোনার দ্বিতীয় ঢেউকেও আমরা জয় করবো বলে আশা করি।
সভায় রাজশাহীর অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) এ.এন.এম মঈনুল ইসলাম বলেন, করোনার ১ম ঢেউ এর সময় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছিল। এবার সেই আতঙ্ক নেই। এরকারণে মানুষ অনেকটা অসচেতন। বর্তমান পরি¯ি’তিতে করোনা থেকে বাঁচতে একমাত্র উপায় হলো জনসচেতনতা।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মোঃ নওশাদ আলী বলেন, রামেক হাসপাতালে করোনা রোগীর জন্য বেড সংখ্যা, হাইফ্লো অক্সিজেন ও চিকিৎসা সরঞ্জাম বাড়াতে হবে। জনগণের উদাসহীনতা প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যব¯’া গ্রহণ করতে হবে। দ্রæত রোগ নির্ণয় করার পাশাপাশি আইসিইউ এর সক্ষমতা বাড়াতে হবে। সরকারি নিদের্শনা যথাযথভাবে প্রতিপালন করতে হবে। আমরা যদি প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করি তাহলে করোনা প্রতিরোধ ও মোকাবেলা সম্ভব হবে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. মোঃ খলিলুর রহমান বলেন, করোনা ভাইরাস কীভাবে ছড়ায় সে বিষয়ে সবাই অবগত। শুধু অবগত হয়ে থাকলে হবে না, সচেতনও হতে হবে। করোনা প্রতিরোধে মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহার এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে। নাগরিকদের টিকা প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যব¯’া গ্রহণ করতে হবে। করোনার সংক্রমণ রোধে প্রতিরোধ ব্যব¯’ার পাশাপাশি চিকিৎসা ব্যব¯’ার উপরও জোর দিতে হবে।
রাজশাহী জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) ইফতে খায়ের আলম বলেন, লকডাউন বাস্তবায়নে আমরা প্র¯‘তি গ্রহণ করেছি। মহানগর ও জেলার প্রতিটি প্রবেশপথে পুলিশ থাকবে। মাননীয় মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন স্যারের নেতৃত্বে করোনার প্রথম ঢেউ‘য়ের মতো দ্বিতীয় ঢেউও মোকাবেলা করতে সফল হবো আশা করি।
সভায় আরো বক্তব্য দেন সিভিল সার্জন ডা.মোঃ কাইয়ুম তালুকদার, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ¯’ানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক শাহানা আখতার জাহান, পরিচালক (স্বা¯’্য) রাজশাহী বিভাগের কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ডা. আনোয়ারুল কবীর, আরএমপি‘র এডিসি (সিটিএসবি) শামিমা নাসরিন প্রমুখ। রাজশাহীর করোনা পরি¯ি’তি ও বর্তমান পরি¯ি’তিতে সরকারি নিদের্শনাসমূহ তুলে ধরেন রাসিকের প্রধান স্বা¯’্য কর্মকর্তা ডা. এফএএম আঞ্জুমান আরা বেগম।
সভায় উপ¯ি’ত ছিলেন রাসিকের ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূরুজ্জামান টুকু, জোন কাউন্সিলর আয়েশা খাতুন ও মুসলিমা বেগম বেলী, ভারপ্রাপ্ত সচিব মোঃ আলমগীর কবির, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সমর কুমার পাল, বিভাগীয় সমাজসেবা অফিসের সহকারী পরিচালক কাজী তাহের, বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের শিক্ষা অফিসার সাইফুল ইসলাম, রাসিকের মেডিকেল অফিসার ডা. মোমিনুল ইসলাম ও ডা. তারিকুল ইসলাম, ভেটেরিনারি সার্জন ড. ফরহাদ উদ্দিন প্রমুখ।