স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে অফিসার পদে প্রেষণে বদলী বা পদায়ন করতে না পারে সে বিষয়ে একটি নিষেধাজ্ঞা আদেশ জারি করেছে রাজশাহী সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালত। গত ২৬ মে ২০১৯ তারিখে রাজশাহীর বার সমিতির সদস্য এ্যাডভোকেট মোঃ আবু আসলাম বাদী হয়ে অধ্যাদেশ ১৯৬১ সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে জনস্বার্থে মামলা দায়ের করলে আদালত এ আদেশ দেন।
আদেশে মূল মোকদ্দামাটি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বোর্ডের ৫টি নিজস্ব অফিসার পদে প্রেষণে বদলী বা পদায়নের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যাই, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধ্যাদেশ, ১৯৬১ মোতাবেক রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড প্রতিষ্ঠিত। আর ১৯৬১ অধ্যাদেশ অনুযায়ী রাজশাহী শিক্ষাবোর্ড একটি স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান। যার ফলে প্রতিষ্ঠানটি অধ্যাদেশের ক্ষমতাবলে প্রনিত রেগুলেশন দ্বারা পরিচালিত হয়। সে ক্ষেত্রে বোর্ডের সচিব, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, কলেজ পরিদর্শক, উপ-পরিচালক (হিসাব ও নিরীক্ষা) এ পাঁচটি পদ বোর্ডের নিজস্ব অফিসার পদ হওয়ায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বা পদোন্নতির মাধ্যমে বোর্ড নিয়োগ প্রদান করবে। কিন্তু অজ্ঞত কারণে এ পাঁচটি পদে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হতে কলেজের শিক্ষকগণকে সরাসরি প্রেষণে বদলী বা পদায়ন করা হচ্ছে। যা ১৯৬১ অধ্যাদেশ সরাসরি লংঘন এবং আইনের পরিপন্থী।
এ আইন লংঘনের বিরুদ্ধে করা মামলায় আদালত প্রেষণে বদলী বা পদায়নের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেন বলে জানান রাজশাহী এ্যাডভোকেট বার সমিতির সিনিয়র আইনজীবিরা।
মামলার বাদী পক্ষে শুনানী করেন, এ্যাডভোকেট লোকমান আলী, এ্যাডভোকেট আলী আকবর প্রামানিক, এ্যাড. এ.কে.এম আনোয়ার হোসেন (চন্দন), এ্যাড. শাজাহান ও এ্যাড. মাহবুবুর রহমান সোহেল প্রমুখ অন্যদিকে শিক্ষা বোর্ডের পক্ষে শুনানীতে অংশ নেন বোর্ডের আইনজীবি এজাজুল হক মানু।
আদেশের ব্যাপারে কয়েকজন আইনজীবি বলেন, আদেশটি একটি যুগান্তকারী আদেশ। এর ফলে সরাসরি দক্ষ ও অভিজ্ঞ অফিসার নিয়োগ হলে বোর্ডের মান বৃদ্ধি পাবে।
শিক্ষার্থীরা বলেন, শিক্ষকরা শিক্ষাগত পেশায় ফিরে আসলেই শিক্ষার মান বাড়বে। তাদের পদাচারণে শিক্ষাবোর্ডে বাড়ছে বিশৃঙ্খলা।