বাঘায় শনাক্তকরা গোলাপী নিহত নয়,জীবিত নিহতের স্বামীর দাবি তার নাম দোলেনা

রাজশাহী লীড

বাঘা প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাঘায় ভূট্টা ক্ষেত থেকে মরদেহ উদ্ধার করা নারিকে গোলাপী বলে শনাক্ত করা হলেও নিহত নারি আসলে গোলাপী নয়। মরদেহ শনাক্ত করা গোলাপীকে ২দিন পর জীবিত অবস্থায় পাওয়া গেছে। শনাক্ত করা নিহত নারি আসলে গোলাপী নয়। উপজেলার আড়ানী পৌরসভার পাঁচপাড়া গ্রামের বাকপ্রতিবন্ধী মনির হোসেনের স্ত্রী গোলাপী জীবিত। বুধবার (১২-৬-১৯) ভোরে গোলাপীর খালুর বাড়ি পাঁকা গ্রামে যাওয়ার পর জানা যায় গোলাপী মারা যায়নি। এর আগে স্বামীর বাড়ি থেকে বের হয়ে সপ্তাহ দু’য়েক নিখোঁজ ছিল ৩০ বছর বয়সের এই গোলাপী।

সোমবার (১০ জুন)সন্ধ্যায় উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের হেদাতিপাড়া মাঠের লালু প্রামানিকের ভুট্ট্রা ক্ষেত থেকে ৪৫ বছর বয়সের অজ্ঞাত এক নারির মরদেহ উদ্ধারের পর পরিবারের লোকজন গোলাপী বলে শনাক্ত করেন। পরে নিহতের মামা শাকিব হোসেন বাদি হয়ে হত্যা মামলাও দায়ের করেছেন। তবে এ মামলায় কারো নাম উল্লেখ করা হয় নাই।

এদিকে বুধবার থানায় এসে চারঘাট উপজেলার চারা বটতলা এলাকার সুরুজ মিঞা নামের এক ব্যক্তি নিহত নারিকে তার স্ত্রী দাবি করে বলেন, তার নাম দোলেনা। তার বয়স আনুমানিক ৪৫ বছর। ৯জুন বিকেলে বাড়ি থেকে বের হয়ে আসে। পরে খোঁজ নেিয তার সন্ধান পাননি।
অপর দিকে শনাক্ত করা জীবিত গোলাপী বেগম বলেন, ঈদের আগে বুধবার (২৯ মে) রুস্তমপুর হাটে ৪২ হাজার টাকায় একটি গরু বিক্রি করি। এ টাকা নেয়ার জন্য শশুর বাড়ির লোকজন চাপ দিতে থাকে। নিরুপায় হয়ে পরের দিন বিদ্যুৎ বিল দেয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বের হয়ে রাজশাহীর রেল ষ্টেশনের এক হোটেলে থালা বাসন ধোয়ার কাজ করেন। ৬ বছরের সন্তান মারুফ হোসেন ও পেটের ৫ মাসের সন্তানের কথা ভেবে ১২ জুন বুধবার ভোরে খালুর বাড়িতে গিয়ে উঠি। তখন তারা জানতে পারেন আমি মারা যায়নি।

আড়ানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রফিক বলেন,গোলাপি বেগমসহ উভয় পক্ষ আমার কাছে আসলে, তাদেরকে থানায় প্রেরণ করেন। তবে আতœীয় স্বজনের কাছে জেনে এবং তার জাতীয় পরিচয়পত্র দেখে জানা গেছে, গোলাপি জীবিত রয়েছে। নিহত নারি অন্য কেউ।

গোলাপির শশুর বিচ্ছাদ আলী বলেন, ছেলে বাকপ্রতিবন্ধী হওয়ায় নিজের ইচ্ছা মতো চলাফেরা করে। প্রতিবাদ করলে বিভিন্ন কথা শুনাতো। যার কারণে দেখেও না দেখার ভান করে চলতেন। এর মধ্যে তার স্বামী, ছেলে রেখে চলে গিয়েছিল। বিভিন্নস্থানে খোঁজাখুঁজি করেন। তাকে না পেয়ে ১ জুন বাঘা থানায় সাধারণ ডাইরী (জিডি) করেছেন। ৪ মাস আগেও স্বাম,িসন্তান রেখে জাহিদ নামের এক ছেলের সাথে চলে গিয়েচিল। স্থানীয় আ.লীগের নেতারা পূনরায় তাকে বুঝিয়ে স্বামীর বাড়িতে নিযে আসে।

মুখে মবেল মাখানোর কারনে সঠিকভাবে লাশ চিনতে পারেননি।
বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মহসীন আলী জানান, তার মুখে ছিল পোড়া মবিল মাখানো,পরণে কমলা রঙের শাড়ি,গায়ে গাঢ় সবুজ রঙের ব্লাউজ। গলায় ওড়ানো দিয়ে প্যাচানো। তার ওড়না দিয়ে প্যাচিয়ে ফাঁস দিয়ে হত্যা করা হয়। উদ্ধারকরা মরদেহ গোলাপীর বলে তার আতœীয়রা শনাক্ত করেন। লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে পরের দিন মঙ্গলবার ময়না তদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ময়না তদন্ত শেষে তাদের পারিবারিক গোরস্থানে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দাফন করা হয়েছে। বুধবার চারঘাটের সুরুজ মিঞা দাবি করেন,নহিতের নাম দোলেনা। সে তার স্ত্রী। বিষয়টি খুতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *