দেশের বিভিন্ন স্থানে ঈদ বৃহস্পতিবার

জাতীয় লীড

স্বদেশবাণী ডেস্ক: দেশের কয়েকটি স্থানে বিভিন্ন পীরের অনুসারীরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদসহ ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করে থাকে। সে হিসেবে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদুল ফিতর পালন করা হবে।

প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে এ তথ্য জানা গেছে।

সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম): দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়াসহ আশপাশের উপজেলার ৬০টি গ্রামে বৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদুল ফিতর পালিত হবে। সাতকানিয়া উপজেলার মির্জাখীল দরবার শরীফের অনুসারীরা মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে একদিন আগে রোজা শুরু করেছিলেন। সে হিসেবে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিলিয়ে একদিন আগেই তারা ঈদ উদযাপন করবেন।

মির্জাখীল দরবার শরীফের অনুসারীদের সঙ্গে চন্দনাইশ, পটিয়া, লোহাগাড়া, বাঁশখালী, আনোয়ারা উপজেলার আরও অর্ধশতাধিক গ্রামে ঈদ উদযাপন করবেন।  সাতকানিয়া উপজেলার মির্জাখীল, সোনাকানিয়া, গারাঙ্গিয়া, বাজালিয়া, কাঞ্চনা, আমিলাইশ, খাগরিয়া ও গাটিয়াডাঙ্গা, লোহাগাড়া উপজেলার কলাউজান, বড়হাতিয়া, পুটিবিলা, চুনতি ও  চরম্বা, বাঁশখালী উপজেলার জালিয়াপাড়া, ছনুয়া, মক্ষিরচর, চাম্বল, শেখেরখীল, ডোংরা,  তৈলারদ্বীপ ও কালিপুর, পটিয়া উপজেলার হাইদগাঁও, বাহুলী ও ভেলাপাড়াসহ ৬০ গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ পবিত্র ঈদুল ফিতর পালন করবেন।

এ ব্যাপারে মির্জাখীল দরবার শরীফের পরিচালনা কমিটির সচিব মাস্টার বজলুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় দরবার শরীফের মসজিদে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। দরবার শরীফের পীর হযরত মাওলানা মোহাম্মদ আরেফুল হাইয়ের বড় ছেলে মুফতি মাওলানা মো. মকছুদুর রহমান ঈদের নামাজে ইমামতি করবেন।

কলাপাড়া (পটুয়াখালী): পটুয়াখালীর কলাপাড়ার প্রায় পাঁচ হাজার পরিবার বৃহস্পতিবার ঈদুল-ফিতর উদযাপন করবেন। সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে এরা ঈদ উদযাপন করে থাকেন। এরা এলাকায় ‘চান টুপি’র লোক হিসেবে পরিচিত। মূলত এরা কাদরিয়া চিশতিয়া তরিকতের অনুসারী।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের উত্তর নিশানবাড়িয়া জাহাগিরিয়া শাহ্সূফি মমতাজিয়া দরবার শরীফ প্রাঙ্গণে এই অনুসারীদের ঈদের নামাজের প্রধান জামাত বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। হাফেজ মোহাম্মদ আরিফ এতে ইমামতি করবেন।

এ জামাতে ধানখালী ইউনিয়নের চালিতাবুনিয়া, গিলাতলা, ফুলতলী ও পাঁচজুনিয়া গ্রামের চান টুপির লোকেরা অংশগ্রহণ করবেন।

এ ছাড়া কলাপাড়া পৌর শহরের নাইয়াপট্টি, উত্তর লালুয়া মাঝিবাড়িসহ বিভিন্ন স্পটে আরও আটটি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এদের কেনাকাটাসহ সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।

ধানখালী ইউনিয়নের নিশানবাড়িয়া, গন্ডামারি, মরিচবুনিয়া, চালিতাবুনিয়া, ছইলাবুনিয়া, সেনের হাওলা, পৌর শহরের নাইয়াপট্টি, বাদুরতলী, মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের তেগাছিয়া, সাফাখালী, চরপাড়া এবং আজিমদ্দিন গ্রামে প্রায় পাঁচ হাজার পরিবারে এ তরিকার ১৫ হাজার লোক বসবাস করেন।

উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের নিশানবাড়িয়া দরবার শরীফের পরিচালক মো. নিজাম উদ্দিন বিশ্বাস জানান, তারা চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার কাঞ্চন নগর ইউনিয়নের পশ্চিম এলাহাবাদ গ্রামের সিলসিলায়ে আলীয়া কাদরিয়া চিশতিয়া জাহাগিরিয়িা তরিকতের অনুসারী। যার কারণে তারা একদিন আগে রোজা রাখা শুরু করেন এবং ঈদও একদিন আগে উদযাপন করে থাকেন।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *