ইন্দোনেশিয়ার জাভা সাগরে বিধ্বস্ত হওয়া লায়ন এয়ারের জেটি৬১০ ফ্লাইটে থাকা ব্যক্তিদের কেউ বেঁচে নেই বলে জানিয়েছেন অনুসন্ধান ও উদ্ধার সংস্থার এক কর্মকর্তা।
সোমবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে একথা জানিয়েছে দেশটির গণমাধ্যম দ্য জাকার্তা গ্লোব।
সংস্থাটির অপারেশনাল ডিরেক্টর বামবাং সুরিয়ো বলেন, বিধ্বস্ত বিমানের প্রধান ধ্বংসাবশেষটি খুঁজে বের করা দরকার আমাদের। এ পর্যন্ত মৃতদেহের যেসব অংশ পাওয়া গেছে তার ওপর ভিত্তিতেই বলছি বিমানের কেউ বেঁচে নেই।
এর আগে সংস্থাটির মুখপাত্র ইউসুফ লতিফ জানিয়েছিলেন, বিমানটি ৩০ থেকে ৪০ মিটার পানির গভীরে তলিয়ে গেছে। আমরা এখনও বিমানের ধ্বংসাবশেষ খোঁজার চেষ্টা করছি।
এদিন বিমানটি স্থানীয় সময় সকাল ৬টা ২০মিনিটে জাকার্তা থেকে পাংকাল পিনাংয়ের দিপাতি আমির বিমানবন্দরের উদ্দেশে উড্ডয়ন করে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ জানায়, উড্ডয়নের মাত্র ১৩ মিনিট পরই বিমানটির সঙ্গে তাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
পাংকাল পিনাংয়ের অনুসন্ধান ও উদ্ধার অফিসের প্রধান দানাং প্রিয়ানদোকো জানান, বিমানটির পাইলট জাকার্তার সোয়েকারনো-হাত্তা বিমানবন্দরে ফেরার অনুমতি চেয়েছিলেন।
ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ সংস্থার প্রধান সুতোপো পুরও নুগরোহো টুইটারে কিছু ছবি পোস্ট করে লেখেন, বিমানের ধ্বংসাবশেষ ও যাত্রীদের জিনিসপত্র সাগরে ভাসছিল। এছাড়া তার পোস্ট করা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, বিমানের ধ্বংসাবশেষ ও তেল পানিতে ভাসছে।
দেশটির সংবাদ সংস্থা আনতারা নিউজ জানায়, বিমানটিতে মোট ১৮৯ জন ছিলেন। তাদের মধ্যে ১৭৮ জন প্রাপ্তবয়স্ক যাত্রী, ৩টি শিশু, ৬ জন ক্রু সদস্য এবং ২ জন পাইলট।