বাঘায় শাহ্দৌলা সরকারি কলেজে অনলাইনে শিক্ষার্থী ভর্তি সমাপ্ত

লীড শিক্ষা

বাঘা প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাঘায় শাহদৌলা সরকারি কলেজে এ বছর প্রথম এসএসসি পাশ করা শিক্ষার্থীদের অনলাইনের মাধ্যমে ভর্তি করা হয়েছে। কলেজটি সরকারি হওয়ার পর শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনার পরিপত্র অনুযায়ী ভর্তি কার্যক্রম শেষ করা হয়। সোমবার থেকে এ ভর্তির কার্যক্রম শেষ করা হয়েছে বলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হক । পাশাপাশি ক্লাশেরও উদ্বোধন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

কলেজ সুত্রে জানা যায়, শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনার পরিপত্র অনুযায়ী ভর্তির সময় অনলাইনে ১৯৫ টাকা ব্যাংক ড্রাপ গ্রহণ করেন। এছাড়াও ভর্তি ফি ২০ টাকা, এক বছরের বেতন ২৪০ টাকা, অধিভুক্তি ফি ২৫ টাকা, ধর্মীয় অনুষ্ঠান ফি ২০ টাকা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি ফি ৫০ টাকা, অভ্যন্তরীন ক্রীড়া ও কমন রুম ফি ৪০ টাকা, ম্যাগাজিন ফি ৩০ টাকা, পরিচয়পত্র ফি ৭০ টাকা, রোভার স্কাউট ফি ৪০ টাকা, রেড ক্রিসেন্ট ফি ২০ টাকা, গ্রন্থাগার ফি ২৫ টাকা, গবেষনাগার ফি ১০০ টাকা, কল্যান ও দারিদ্র তহবিল ফি ২০ টাকা, চিকিৎসা সেবা ২০ টাকা, আইসিটি ২০ টাকা, বিজ্ঞান ক্লাব ফি ১০ টাকা, সাইকেল গ্যারেজ ১০ টাকা, ব্যবস্থাপনা ফি ১০০ টাকা, অত্যাবশ্যকীয় ফি (কর্মচারী) ৪০০ টাকা, কলেজ উন্নয়ন ফি ১০০ টাকা, অভ্যন্তরীন পরীক্ষা ফি ৫৬০ টাকা এছাড়াও বিবিধ ১০০ টাকা এবং ডি-এলার্ট ফি-৯৬ টাকা।

এদিকে শিক্ষার্থী অভিভাবক জানান, সর্বনি¤œহারে অর্থ আদায় করার কথা থাকলেও কলেজ কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন খাতে কলেজের একাউন্টে ৫৩৫ জন শিক্ষার্থীর কাছে থেকে ২ হাজার ১৫৬ টাকা হারে অর্থ নিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করেছেন। অভিভবকরা বলেন, সরকারি কলেজে উন্নয়ন ফি বাবদ প্রত্যেক শিক্ষার্থীর নিকট ১০০ টাকা নেয়ার প্রশ্নই উঠেনা। অত্যাবশ্যকীয় ফি (কর্মচারী) খাতেও ৪০০ টাকা নেয়ার দরকার পড়েনা। অনুরুপভাবে ম্যাগাজিন ফি ৩০ টাকা এবং চিকিৎসা খাতে ২০ টাকাসহ এক বছরের অগ্রীম বেতন ২৪০ এবং অভ্যান্তরীন পরীক্ষা ফি ৫৬০ টাকা এককালিন ফি নিয়েছে। ভর্তির পর অনেক শিক্ষার্থী কলেজ পরিবর্তন করে কিংবা পরীক্ষা দেয়না। সুতরাং এভাবে অগ্রীম টাকা নেয়াটা অপ্রাসঙ্গিক।

কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হক বলেন, শিক্ষা মন্ত্রনাললের নির্দেশনার পরিপত্র মোতাবেক ৭ সদস্যের একটি কমিটির মাধ্যমে ২২টি খাতে এসব অর্থ নিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়েছে। সমুদয় টাকা কলেজের ব্যাংক একাউন্টে জমা আছে। সেই টাকা কলেজ পরিচালনা পরিষদ ও ভর্তি কমিটির মাধমে উত্তোলন করে ওইসব খাতে পর্যায়ক্রমে ব্যয় করা হবে।

সরকারি কলেজ পরিচালনা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহিন রেজা বলেন, জমাকৃত অর্থ যৌথ স্বাক্ষর ছাড়া উত্তোলন করা যাবে না। সমুদয় অর্থ কলেজের উন্নয়নে ব্যয় হবে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *