নাটোরে করোনাসহ উপসর্গে মৃত্যু- ৪, রেকর্ড আক্রান্ত ২২৫!

রাজশাহী লীড
নাটোর প্রতিনিধিঃ নাটোর সদর হাসপাতালে ২৪ ঘন্টায় করোনাসহ উপসর্গে ৪ জন মারা গেছে। এর মধ্যে ২ জন করোনায় এবং ২ জন উপসর্গে। করোনায় আক্রান্ত নলডাঙ্গার সোনাপাতিল গ্রামের আব্দুস সালাম (৫০) ও সিংড়ার গুলনাহার (৩৮) এবং করোনা উপসর্গে বাতিপাড়ার আব্দুস সাত্তার (৬০) ও শহরের কান্দিভিটা এলাকার বৃদ্ধা আনোয়ারা (৭০)  মারা যান। এই সময়ে নাটোরে নতুন করে রেকর্ড ২২৫ জন আক্রান্ত হয়েছে। ৬৯৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। সংক্রমনের হার ৩২ দশমিক ৩৭ শতাংশ। জেলায় মোট মৃত্যু ৫৫ জন। মোট আক্রান্ত ৩৭৮৩ জন। ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়েছেন ৭৯ জন। সদর হাসপাতালে করেনাসহ উপসর্গ নিয়ে ৭৭ জন ভর্তি রয়েছেন।
সদর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডাঃ পরিতোষ কুমার রায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বর্তমানে সদর হাসপাতালে উপসর্গসহ করোনা আক্রান্ত ৭৭ জন ভর্তি রয়েছেন।
এদিকে আজ বৃহস্পতিবার থেকে সারা দেশে শুরু হওয়া কঠোর লকডাউন চলছে কঠোরভাবে। লকডাউন কার্যকর করতে সকাল থেকে  সেনাসদস্য এবং বিজিবি ও র‍্যাব সহআইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা বিভন্ন গুরুত্বপুর্ন স্থানে চেকপোষ্ট বসানো সহ টহল দিচ্ছে। এছাড়া জেলা প্রশাসনের একাধিক মোবাইল টিম সকাল থেকেই কাজ শুরু করেছে। লকডাউনের পরিস্থিতি দেখেতে জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ ও পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা শহরের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন।
অপরদিকে টানা বর্ষনের কারনে শহরের নিচাবাজারের সবজি ব্যবসায়ীরা খোলা জায়গার তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সরাতে না পারায় প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছেন। ফলে ক্রেতাদের সমস্যায় পড়তে হয়।
জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন, লকডাউনের প্রথমদিন মানুষ স্বতস্ফুর্তভাবে সাড়া দিয়ে সহায়তা করছেন। লকডাউন কার্যকর করতে নাটোরে ৪ প্লাটুন সেনা সদস্যের ৩ প্লাটুন মাঠে রয়েছে। ১ প্লাটুন রিজার্ভ রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে তারাও মাঠে নামবেন। বিজিবি ২ প্লাটুন সহ র‍্যাব ও পুলিশ সারা জেলায় টহলে রয়েছে। এছাড়া রোভার্স স্কউটসদস্যরাও কাজ করছে। প্রথমদিনের মত গোটা সপ্তাহ নাটোরের মানুষদের কাছে সহায়তার প্রত্যাশা করা হচ্ছে। নিত্য পণ্য ক্রয়ে সাধারন ক্রেতাদের যাতে কোন সমস্যা না হয় সে জন্য আগামি দিন থেকে সড়কের ধারে সবজি বাজার সহ নিত্য পণ্য বিক্রির ব্যবস্থা করার চিন্তা ভাবনা রয়েছে প্রশাসনের।
Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *