স্বদেশবাণী ডেস্ক: বগুড়ায় পুরাতন ব্রিটিশ ধাতব মুদ্রা তৈরি এবং এর মাধ্যমে নিরীহ মানুষকে ঠকানোর সঙ্গে জড়িত প্রতারক চক্রের সদস্য শাহীন আলী (৫০) ধরা পড়েছে। তার কাছে নগদ টাকা ও কিছু মুদ্রা পাওয়া গেছে।
র্যাব-১২ বগুড়া স্পেশাল কোম্পানির সদস্যরা শনিবার রাতে তাকে শহরের শাপলা সুপার মার্কেট থেকে গ্রেফতার করে। মামলা দায়েরের পর রোববার দুপুরে তাকে সদর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
র্যাব-১২ বগুড়া স্পেশাল কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, শাহীন আলী বগুড়া শহরের লতিফপুর বিহারী কলোনির মৃত আবদুস সাত্তারের ছেলে। তিনিসহ প্রতারক চক্র ব্রিটিশ ধাতব মুদ্রা তৈরি ও এর মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন এলাকার নিরীহ মানুষদের প্রতারণা করে আসছেন। তারা বলেন- এ মুদ্রা জাহাজে রাখলে জাহাজ পানিতে ডুবে না। এটা দ্বারা উড়ন্ত বিমান নামিয়ে আনা যায়। যত বেশি এই মুদ্রা পানিতে ভেসে থাকবে তত দাম হবে। এছাড়া এ মুদ্রা নাসার স্যাটেলাইটের কাজে লাগে। এ প্রতারক চক্র বগুড়া থেকে দেশের অনেক মানুষের কাছে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
তিনি বলেন, এ প্রতারক চক্রে ফাঁদে পড়ে অনেকে ফকির হয়ে গেছে। পরে টাকা উশুলের ধান্দায় তারাও একই পথে নামেন। বিষয়টি র্যাবের গোয়েন্দা দলের নজরে এলে প্রতারক চক্রের সদস্যদের গ্রেফতারে তৎপরতা শুরু করা হয়।
তিনি আরও জানান, গোপনে খবর পেয়ে শনিবার রাত ১১টার দিকে বগুড়া শহরের শাপলা সুপার মার্কেটে অভিযান চালিয়ে প্রতারক শাহীন আলীকে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছে ৫৫টি পুরাতন ব্রিটিশ ধাতব মুদ্রা, মুদ্রা তৈরির ছাঁচ, মোবাইল ফোন ও নগদ ৩০ হাজার ৩০০ টাকা পাওয়া গেছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি জানান, তিনি বিভিন্ন ভাঙারির দোকান থেকে মুদ্রাগুলো কিনে কেমিকেল দিয়ে ছাপ দিতেন। পরে সেগুলো রোদে শুকানোর পর আগুনে পুড়িয়ে এসিডে নিমজ্জিত রেখে ধাতব মুদ্রা তৈরি করতেন। আর এসব মুদ্রার মূল্য কোটি কোটি টাকা বলে শাহীন প্রতারণা করতেন। তিনি নিজ এলাকায় প্রতারক হিসেবে পরিচিত এবং তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে।