আল-আফতাব খান সুইট, নাটোরঃ আসন্ন ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে নাটোরের সিংড়ায় কোরবানীর গরু বিক্রয় নিয়ে খামারীরা যেমন শঙ্কায় আছেন, তেমনি দুঃশ্চিন্তায় রয়েছেন। চলমান লকডাউনের কারনে এই শঙ্কা আর দুঃশ্চিন্তায় পড়েছেন তারা। খামারিদের শঙ্কা ঈদুল আযহার দিন ঘনিয়ে আসলেও ক্রেতার দেখা মিলছেনা। ফলে তারা এবারও তাদের পুঁজি হারাবেন।
উপজেলা প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য মতে এবছর সিংড়া পৌরসভা সহ উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের ছোট বড় খামার এবং পারিবারিক গরু পালন থেকে প্রায় ৪১ হাজার গরু লালন পালন করে কোরবানীর জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। যা কোরবাণীর ঈদ উপলক্ষে বিক্রি করার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। তবে চলমান লকডাউনের কারনে সঠিক সময়ে ন্যায্য দামে বিক্রি করতে পারবেন কিনা এই আংশঙ্কা নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন গরুর মালিকরা। খামারিরা জানায়, প্রতিবছর ঈদের ২০ থেকে ২৫ দিন আগে থেকেই ঢাকার ব্যাবসায়ীকরা খামার ও গরু মালিকের বাড়ি বাড়ি এসে দাম দর করে গরু কিনে নিয়ে যেতেন। এবার চিত্র বিপরীত। ঢাকার কোন ব্যবসায়ী এখনও পর্যন্ত এলাকায় অসেননি।
উপজোলার পেট্রোবাংলা পয়েন্টের রুপন ডেইরী ফার্মের পরিচালনক মাসুদ রানা বলেন,আমার খামারে সিদ্ধি,শাহীওয়াল, বার্মা ও দেশী জাতের ২১টি গরু আছে, আমি গরুর ছবি ও ভিডিও সহ অনলাইনে বিক্রির চাহিদা দিয়েছি। এখনও পর্যন্ত কোন সাড়া পাইনি।
কান্তনগর গ্রামের আনছার আলী বলেন,তিনি প্রতি ঈদে বিক্রির জন্য ২/১টি করে গরু কিনে তা লালন পালন করেছেন। এবারও দুটি দেশী জাতের গরু তৈরি করেছেন বিক্রির জন্য। বাড়িতে এসে স্থানীয় কয়েকজন দাম দর করে গেছেন। কিন্তু তারা যে দাম করেছেন বাজার মুল্যের অর্ধেক। ডাহিয়া গ্রামের মুক্তার হোসেন বলেন,প্রতিবছর আমরা স্থানীয়ভাবে কোরবানীর পশুর হাটে গরু নিয়ে যাই। সেখানে দাম দর যাচাই বাছাই করি। তার পর বাজার বুঝে বিক্রি করি। এবছর ওই হাট যদি না বসে তাহলে আমরা কোথায় বিক্রি করবো।
উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকতার্ মোঃ খুরসিদ আলম বলেন, আমরা আজ থেকে প্রায় ১০ দিন আগে খামারিদের গরুর ছবি, নাম ঠিকানা, মোবাইল নম্বর দিয়ে সিংড়া অনলাইন কোরবানীর পশুর হাট নামে ফেসবুক পেইজে গরু বেচা কেনার ব্যবস্থা করেছি। ইচ্ছে করলে যে কোন ক্রেতা বিক্রেতা এখানে চাহিদা মত কেনা বেচা করতে পারবেন। এছাড়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে সিংড়া পৌরসভায় প্রতি সোমবার ও রোববার কালিগঞ্জ বাজারে উপজেলার এই দুটি কোরবানী পশুর হাট নিয়মিত বসবে। সে সকল হাটে পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আমাদের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ভ্যাটেরিনারী মেডিকেল টিমের ব্যবস্থা থাকবে। কাজেই কোরবানীর গরু কেনা বেচা নিয়ে আশা করি কোন সমস্যা হবেনা।