মেসিদের হারিয়ে ট্রফি জিততে চান নেইমার

খেলাধুলা

স্বদেশবাণী ডেস্ক: শিরোপার লড়াইয়ে তুলনামূলক কঠিন প্রতিপক্ষকে এড়াতে পারলে স্বস্তির পাওয়ার কথা। ব্রাজিল সুপারস্টার নেইমার এখানে ব্যতিক্রম। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের হারানোর স্বাদ আর কঠিন চ্যালেঞ্জ জয়ের রোমাঞ্চই বেশি টানছে তাকে।

ব্রাজিলের এই তারকা তাই কোপার দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে সমর্থন করেন আর্জেন্টিনাকে। তাই সমর্থন কাজে লেগে গেছে।  কলম্বিয়াকে হারিয়ে মঙ্গলবার শেষ রাতে আর্জেন্টিনা ফাইনালে উঠে গেছে। ফাইনালে লিওনেল মেসির দলকে হারিয়েই তিনি জিততে চান কোপা আমেরিকার শিরোপা।

এই ম্যাচে লিওনেল মেসি নন, নায়ক ছিলেন এমিলিয়ানো মার্তিনেজ। পেনাল্টি শুটআউটে তার তিনটি সেভই ফাইনালে তুলল আর্জেন্টিনাকে। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা ১-১ সমতায় থাকার পর টাইব্রেকারে গড়ায় ম্যাচ। সেই পর্বে মার্তিনেজের বীরত্বে ফাইনালে উঠে আর্জেন্টিনা।

আর্জেন্টিনার হয়ে লিওনেল মেসির সহায়তায় প্রথমে গোল করেন লাওতারো মার্তিনেজ। দ্বিতীয়ার্ধে লুইস দিয়াস সমতায় ফেরান কলম্বিয়াকে। এরপর আর কোনো গোল না হলে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানেই তিন-তিনটি পেনাল্টি আটকে দলকে জয়ের আনন্দে ভাসান এমিলিয়ানো মার্তিনেজ।

প্রথম থেকেই দুর্দান্ত খেলছিলেন মেসি। ম্যাচের শুরুতেই তিনজন কলম্বিয়ান তারকাকে ছিটকে লাওতারো মার্তিনেজকে একটা পাস দিলে ইন্টার মিলানের এই ফরোয়ার্ড গোল করতে ব্যর্থ হন। তবে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি আর্জেন্টিনাকে। জোভান্নি লো সেলসোর দুর্দান্ত এক পাস ধরে বক্সে থাকা লাওতারোর কাছে বল বাড়ান মেসি। ৭ মিনিটেই লাওতারোর দুর্দান্ত প্লেসিংয়ে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। এই অ্যাসিস্টের মাধ্যমে এ টুর্নামেন্টে চার গোল ও পাঁচ অ্যাসিস্ট হয়ে গেল মেসির। এ নিয়ে কোপায় আর্জেন্টিনার শেষ ১১ গোলের নয়টাতেই থাকল মেসির অবদান।

খেলা টাই হয়ে গেলে পেনাল্টিতে গড়ায়। পরে পেনাল্টি শুটআউটে গল্পটা এমিলিয়ানো মার্তিনেজেরই। তিন-তিনটি পেনাল্টি সেভ করে দলকে তুলেছেন ফাইনালে। শুরুতে কলম্বিয়ার হয়ে কুয়াদ্রাদো ও আর্জেন্টিনার হয়ে মেসি গোল করেন। এরপরই মঞ্চে আবির্ভাব এমিলিয়ানো মার্তিনেজের।

একে একে আটকে দেন সেন্টারব্যাক দাভিনসন সানচেজ ও ইয়েরি মিনার দুই পেনাল্টি। ওদিকে আর্জেন্টিনার হয়ে পেনাল্টি মিস করেন দি পল। কিন্তু লাওতারো ও পারেদেস গোল করে দলকে চিন্তামুক্ত করেন। কলম্বিয়ার হয়ে মিগুয়েল বোরহা গোল করলেও এদউইন কার্দোনার শেষ পেনাল্টিটা আবার আটকে দেন মার্তিনেজ।

এই ম্যাচে আর্জেন্টিনার জয়ের নেপথ্য নায়ক মেসিই।

আর তাকেই টেক্কা দিতে চান ব্রাজিল সুপারস্টার নেইমার। তিনি দুর্দান্ত ফর্মে আছেন। প্রথম সেমি-ফাইনালে নেইমারের জাদুকরি পাস থেকে লুকাস পাকুয়েতার গোলে পেরুকে হারায় ব্রাজিল। শুধু ওই পাসই নয়, গোটা ম্যাচে তার পায়ের কারুকাজ দেখা গেছে অনেকবারই। গোল না পেলেও তাই ম্যাচের সেরা ফুটবলার তিনিই।

কোয়ার্টার-ফাইনালেও ম্যাচ সেরা ছিলেন নেইমার। আসরে তিনবার তিনি হলেন ম্যান অব দা ম্যাচ।

আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে খেলার অপেক্ষায় মুখিয়ে আছেন নেইমার। প্রথম সেমি-ফাইনাল শেষে নেইমার হাসিমুখে জানিয়ে দিয়েছিলেন, ফাইনালে কোন দলকে চান।

‘আমি আর্জেন্টিনাকেই চাই, ওদের হয়েই গলা ফাটাব (দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে)। ওখানে আমার অনেক বন্ধু আছে এবং সেই ফাইনালে ব্রাজিলই জিতবে।’

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *