স্বদেশবাণী ডেস্ক: আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে খবরের শিরোনাম হয়েছে সাভারে একটি খামারে থাকা সবচেয়ে ছোট গরু ‘রানি’। বুধবার বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গণমাধ্যমে ‘রানি’র খবর প্রকাশ করা হয়েছে।
দুদিন আগে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে আলোচনায় আসে আশুলিয়ার চারিগ্রামের ২০ ইঞ্চি উচ্চতার ২ বছর বয়সী ‘বক্সার ভূট্টি’ জাতের এই গরুটি। এর ওজন মাত্র ২৬ কেজি।
বিশ্বের সবচেয়ে ছোট গরুর রেকর্ড ছিল ভারতের কেরালা রাজ্যের ৪ বছর বয়সী লাল রঙের গরু মানিকিয়ামের। সেটাকে পেছনে ফেলেছে বাংলাদেশের ‘রানি’। ভারতের মানিকিয়ামের চেয়ে রানি ১০ সেন্টিমিটার ছোট।
বুধবার বার্তা সংস্থা এএফপি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, দেশব্যাপী লকডাউন থাকা সত্ত্বেও মানুষজন দূর-দূরান্ত থেকে রিকশায় করে আশুলিয়ার শিকড় এগ্রো লিমিটেডে ‘রানি’কে দেখতে আসছে।
গরুটির মালিক সাভারের ‘শিকড় এগ্রো লিমিটেড’ জানায়, প্রতিষ্ঠানটি বছর দুয়েক আগে কোনো এক মাধ্যমে খবর পেয়ে নওগাঁর এক খামারির থেকে এই গরুটি ক্রয় করেন। গরুটির নাম রানি। তাকে দিনে দুবেলা খাবার দিতে হয়। সাধারণ গরুর তুলনায় এটির খাবার লাগে অনেকটা কম।
প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ইন্টারনেটে স্টাডি করে তারা জানতে পেরেছে- এটিই পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট গরু। এটি এখন কোরবানির উপযুক্ত। গরুটিকে বিশ্ব রেকর্ডে জায়গা করে দিতে ইতোমধ্যে গত ২ জুলাই গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে। ওই আবেদনের পর গিনেস বুক কর্তৃপক্ষ একটি রিপ্লাইও দিয়েছে।
গিনেস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের নিজস্ব কিছু প্রক্রিয়া রয়েছে। ওই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেই তারা আগামী ৯০ দিনের মধ্যে পরবর্তী কার্যক্রমগুলো শেষ করে সিদ্ধান্ত জানাবে। সবকিছু ঠিক থাকলে এই গরু বিশ্বের সবচেয়ে ছোট গরুর অফিসিয়াল তকমা পাবে। পরীক্ষা নিরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে বিশ্বে ছোট গরুর রেকর্ডে ভারতকে পেছনে ফেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।